কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা সেজে উঠেছে বড়দিনের উৎসবে। কিন্তু ফুটপাথবাসীদের জীবনে তার কোনও আঁচ নেই। লোকাল ট্রেনে করে সবজি বয়ে নিয়ে এসে যিনি বিক্রি করেন, তাঁর কাছে অথবা এখনও হাতে টানা রিকশা বয়ে চলেন যিনি-- তাঁদের কাছে শহুরে ক্রিসমাসের আনন্দের ছিঁটেফোঁটা এসে পৌঁছয় না। তাঁদের জন্যই স্টার জলসা-র বিশেষ উদ্য়োগ আমিও সান্টা। বড়দিনের ঠিক আগেই ভোরবেলা সানটার পোশাকে শহরের রাস্তায় হাঁটলেন অভিনেতা এবং উপহার রেখে এলেন ঘুমন্ত পথশিশুদের মাথার কাছে।
সান্টা ক্লজ-এর এই উপহার দেওয়ার রীতির ইতিহাস নিয়ে নিয়ে নানা মত রয়েছে। মোটামুটি যে ইতিহাসটি সম্পর্কে সবাই একমত তা হল এই রকম-- আধুনিক সময়ের সান্টা ক্লজ হল দুই ঐতিহাসিক চরিত্রের মিলিত একটি আইডিয়া। চতুর্থ খ্রিস্টাব্দের গ্রিক বিশপ সেন্ট নিকোলাস তাঁর নামকরণের আগের দিন অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর উপহার দিতেন শিশুদের।
আরও পড়ুন: বড়দিনে বই কিনলেই উপহার টবসুদ্ধ গাছ
আবার ষোড়শ শতকের ব্রিটেনে, অষ্টম হেনরির আমলে ক্রিসমাসে দেখা যেত প্রকান্ড সবুজ অথবা লাল রোব পড়ে এক ব্য়ক্তি চুপিচুপি উপহার রেখে যাচ্ছেন ২৫ ডিসেম্বর। এই দুই ইতিহাস এবং মিথ মিলেমিশে তৈরি হয়েছে আধুনিক যুগের পপুলার কালচারের সান্তা ক্লজ। আবার ক্রিসমাসের এই উপহার দেওয়ার চলটি কিন্তু এসেছে ক্রিশ্চান ধর্ম প্রতিষ্ঠারও আগে, ইউরোপে পেগানদের বার্ষিক উৎসবের হাত ধরে।
ক্রিসমাসে উপহার দেওয়ার শুরুটা যে কারণেই হোক না কেন, এই রীতিটি অত্যন্ত মানবিক ও সহমর্মী। তাই ক্রিসমাসের দিনে অর্থকষ্টে থাকা, দীন-দরিদ্রদের হাতে অল্প কিছু উপহার তুলে দেওয়াটা অনেকেই সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। আর একথা সবারই জানা যে ক্রিসমাসের বিশেষ কেক দূরে থাক, সামান্য দৈনিক প্রয়োজনীয় খাবারটুকুও জোটে না বেশিরভাগ মানুষের। তাই স্টার জলসা-র এই উদ্যোগে শহর কলকাতার বেশ কিছু দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল কেক। সান্টার ছদ্মবেশে সেই কাজটি করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিক। কীভাবে তা দেখে নিতে পারেন নীচের লিঙ্ক থেকে
স্টার জলসা-র অফিসে একটু একটু করে সান্টার সাজে সেজে ওঠা থেকে ভোরে ঘুমন্ত শিশুদের মাথার কাছে উপহার রাখা-- এই গোটা জার্নিটাই অত্যন্ত আনন্দের ছিল ঋষি কৌশিকের কাছে। সেকথাও জানিয়েছেন তিনি উপরের ভিডিওতে। আগামী মাস থেকেই স্টার জলসা-তে শুরু হতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক কোড়া পাখি, যেখানে নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন পার্নো মিত্র।