মঙ্গলবার সকালে সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বাড়িতে RSS প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। দু'জনের সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে জোর শোরগোল। মিঠুন চক্রবর্তী মানেই সমূহ বাংলার একটা আবেগ তাঁর সঙ্গে জড়িত। আর বাঙালির সেই আবেগকে হাতিয়ার করেই কি 'ডিস্কো ডান্সার' তারকাকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের মুখ করে তুলতে চলেছে গেরুয়া শিবির? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
প্রসঙ্গত এদিন সকালে মুম্বইয়ের মাঢ অঞ্চলে মিঠুনের বাংলোতে যান মোহন ভাগবত। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। অভিনেতা অবশ্য দাবি করেছেন যে, "RSS প্রধানের সঙ্গে তাঁর আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়।" কিন্তু মিঠুনের এই দাবি কিছুতেই যেন হজম করতে পারছেন না বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যজনিত কারণে দলত্যাগ করেন তিনি। তবে এবার মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকে কিন্তু একেবারেই আধ্যাত্মিক আলোচনা বলে উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। কারণ, রাজ্য-রাজনীতি বর্তমানে সরগরম। গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতি মিলে মিশে একাকার। কারও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর জল্পনা হাওয়ায় ভাসছে, কেউ বা আবার রাজ্যের শাসক দলের হয়ে সুর চড়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন এখন মধ্যমণি। এর মাঝেই নিত্যদিন তারকাদের রাজনীতিতে যোগদানের খবর প্রকাশ্যে আসছে। অতঃপর পদ্ম শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী নামবেন কিনা? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই এখন মরিয়া বিরোধী শিবিরগুলি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের নির্বাচনী প্রচার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে একুশের নির্বাচনের জন্য সম্মুখ সমরে বঙ্গ বিজেপির ‘স্টার স্ট্র্যাটেজি’ও তুঙ্গে। কাজেই পদ্ম শিবিরকে টেক্কা দিতে জোড়াফুলও বেশ গুছিয়ে ‘রণনীতি’ সাজাচ্ছে। রাজ্য-রাজনীতিতেও দল-বদলের হাওয়া। একের পর এক তৃণমূল নেতামন্ত্রী শিবির বদলাচ্ছেন। ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু পরিচিত মুখও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুলে।
অন্যদিকে, রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দলে তারকাদের যোগদানের সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে বই কমেনি, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অন্দরেও জোর চর্চা চলছে। এরই মাঝে ভাগবতের সঙ্গে মিঠুনের সাক্ষাৎ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। এর আগে অমিত শাহ বঙ্গসফরে এসে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যা নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি।