কিছুদিন আগেই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ভাষা নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেন। বাংলা ভাষা নিয়ে লড়াই এবং আন্দোলনের কথা বলেন। কিন্তু, ঠিক যেই মুহূর্তে তিনি এই কথাগুলো বলছেন, ঠিক তখনই, তাঁকে হিন্দি ভাষায় বড় মনোলগ দিতে দেখা যায়। তাহলে যে ভাষা নিয়ে আন্দোলনের কথা বলছেন, সেই ভাষায় না বলে হিন্দি কেন? বারবার এমনি প্রশ্ন উঠছিল। এবং অভিনেতা - বিজেপি ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঠিক এমন কিছুই বলতে চেয়েছিলেন সমাজ মাধ্যমে।
এই প্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে রুদ্রনীলের কাছ থেকে হিন্দি এবং বাংলা ভাষার দ্বন্দ্ব এবং বাংলা ভাষা নিয়ে লড়াই প্রসঙ্গে জানতে চাইলেই রুদ্রনীল সোজাসুজি বেশ কিছু কথা বললেন। কী বলতে শোনা গেল তাঁকে? তাঁর কথায়...
আমার বক্তব্য এখানেই, যেভাবে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি এবং, বাংলায় যেভাবে মানুষকে উনি চুরি করে জ্বালিয়েছেন। বাঙালিকে যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে বা গণতান্ত্রিকভাবে যেভাবে উনি ধ্বংস করেছেন, সেটা তো সকলে জানেন। বাঙালিকে যদি উনি ভালবাসতেন, তাহলে চাল, ডাল, রেশন, চাকরি চুরি করাতেন। বাঙালি বাচ্চাদের শিরদাঁড়া সোজা হওয়ার স্কুল বন্ধ করে দিতেন? বাঙালিদের যদি ভালবাসতেন, শিক্ষকদের চাকরি চুরি করিয়ে পুলিশ দিয়ে পেটাতেন? তাহলে বাঙালি সরকারি কর্মচারীদের DA আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট দৌড়াতেন? আমাদের গর্বের ব্রিটানিয়া কোম্পানি পর্যন্ত উনি লাটে উঠিয়ে দিতেন, বাংলা ছাড়া করতেন? লক্ষ লক্ষ বাঙালি কে কর্মহীনতায় ফেলে পরিযায়ী শ্রমিক বানাতেন? এই বাংলাদেশের কলোনি, সারা বাংলায় ছড়িয়ে দিতেন? এত জল আঁধার ভোটার কার্ড, জাল পাসপোর্ট, বাংলা ভাষায় কথা বলা বাংলাদেশীদের ভোটার বানানোর স্বার্থে এখানকার বাঙালিদের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে দিলেন? তিনি বাঙালিকে ভালবাসেন না, বাঙালির রক্ত ভালবাসেন। বাঙালিকে লুট করতে ভালবাসেন, বাঙালির মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিতে ভালবাসেন। বাংলার গৌরব যে তিনি ধুলিস্যাৎ করেছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে উনি সব করতে পারেন।
ভারতীয়রা দেশ ছেড়ে চাকরি করতে বিদেশে যাচ্ছে..
তাঁর অজ্ঞানতা বলব না মূর্খামি বলব আমি জানি না। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা এবং কেরিয়ারের ক্ষেত্রে অনেককিছুই ভারতে সম্ভব না। গুগলের CEO সুন্দর পিচাই, একগাদা বড় বড় কোম্পানির বড় নাম যারা, তাঁরা তো সেসব জায়গায় চাকরি করে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেন। তারা ভারতের অহংকার। আর যারা পশ্চিমবঙ্গে রোজগার করতে পারছেন না। তোলাবাজি জোরজুলুমে কারখানা অফিস কাছারি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে তাঁরা যাচ্ছে নিজেদের কর্মসংস্থান করতে অন্য রাজ্যে, দুটো এক? আসলে তৃণমূলের কাছে চাল ডাল তেল চুরি করে জেল খাটা আর স্বাধীনতা আন্দোলনে জেল খাটা এক। তাঁদের কাছে বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় যা, চাল চোর অনুব্রত এক, ও নাকি বাঘ। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলে আমার বিষ্ময় বোধ হয়। তাঁর মুখোশ খুলে গেছে। কসবা কান্ড, বা RG কর নিয়ে কিছু বললেন না। জাস্টিস দিতে পারলেন না। পুলিশ মন্ত্রী হয়েও, তাঁদের অপদার্থ বললেন, এদিকে কেন তাঁরা সেটা এটা তিনি বলেন না।