অতিমারী আবহে সাড়ে কলকাতার সাড়ে তিন হাজার বসতিবাসীকে ‘জননী: স্বাস্থ্যের স্বাধীনতা’র আস্বাদ দিয়েছিলেন। বিলি করেছিলেন মাস্ক, স্যানিটাইজারের পাশাপাশি ভিটামিন ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ব্লিচিং পাউডার অবধি। জন্মদিনেও থামল না সেই মানবসেবার হাত। টলিউডের 'চ্যাপলিন' বেলা গড়াতেই খাবার-দাবার, শীতবস্ত্র নিয়ে পৌঁছে গেলেন দুস্থ কচিকাঁচাদের কাছে। জীবনের বিশেষ দিনের আনন্দে শামিল করলেন ওদেরও, যাদের কথা সাধারণত কেউ খুব একটা ভাবে না।
আজ, ৬ জানুয়ারি টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষেই সারাটা দিন কাটালেন গলফগ্রিনের রং-কল বসতির শিশুদের সঙ্গে। সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন খাবারের প্যাকেট, কেক এবং শীতবস্ত্র। সেই এলাকার দু'শোটি বাচ্চাকে পেটভরে মধ্যাহ্নভোজ করালেন। সস্নেহে ওই কচিকাঁচাদের গায়ে তুলে দিলেন শীতপোশাক। ৪৮ তম জন্মদিনটা এভাবেই সেলিব্রেট করলেন টলিপাড়ার তারকা।
পরনে সাদা শার্ট, নীল জ্যাকেট। রং-কল বসতির বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটছেন রুদ্রনীল ঘোষ। ওদের মুখে তখন কী অনাবিল হাসি। হাতে ধরা রাখা রং-বেরঙের বেলুন, মুখ ঢাকা মাস্কে। সমবেতভাবে প্রিয় অভিনেতার জন্য ওরা গাইছে- 'হ্যাপি বার্থ-ডে'। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উপচে পড়া শুভেচ্ছাবার্তার চেয়ে ওই মায়া-জড়ানো মুখগুলোর হাসিই তখন রুদ্রনীলের কাছে ঢের বেশি দামি। গোলাপের পাপড়ি সাজানো টেবিলে রাখা কেক কাটলেন। কেকের টুকরোও তুলে দিলেন ওদের মুখে।
রোজ নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। যে মানুষটা একদিন স্টুডিওয় বাইরে ঠায় পায়ে বসে থাকতেন কাজের জন্য। প্রথম কাজের বিনিময়ে পেয়েছিলেন মাত্র দেড়শো টাকা, সেই তিনিই যে খুব কাছ থেকে দুস্থদের পরিস্থিতিটাও বুঝতে পারবেন, তা বলাই বাহুল্য। আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েও নিজের শিকড় ভুলে যাননি। তাই বিশেষ দিনেও কাজের মাঝে ছুটলেন দুস্থগুলোর কাছে। জাকজমক করে পার্টি না করে ওদের মুখে খাবার তুলে দিলেন। গায়ে মুড়ে দিলেন শীতবস্ত্র। আর অভিনেতার এই উদ্যোগকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।