দিন কয়েক আগেই ভবানীপুর (Bhawanipur) বিধানসভা কেন্দ্রের পদ্ম-প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) বিজেপি কর্মীদের উপর 'তৃণমূলী গুণ্ডা'দের আক্রমণের অভিযোগ তুলেছিলেন। ঘটনার জেরে পদ্ম শিবিরের সমর্থকদের নিয়ে চেতলা থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী রুদ্রনীল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন 'তৃণমূল-ছুট' তারকা। অভিযোগের তীর অবশ্যই তাঁর প্রাক্তন শিবিরের প্রতি। যার জেরে ভবানীপুর থানাতে গিয়েও ইতিমধ্যে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী।
রুদ্রনীলের মন্তব্য, "সাধারণ মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন। আর তার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টিকে কোনওরকম অতিরিক্ত কসরতও করতে হচ্ছে না। আমাদের শুধু একটাই পরিশ্রম হচ্ছে যে, আমরা চিৎকার করে বলছি, অন্যায়ের পাশ ছেড়ে এবার ন্যায়ের পাশে দাঁড়ান। শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। আর সেই কারণে দরজায়-দরজায় আমাদের প্রচার করতে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে আমাদের পোস্টার, ব্যানার। এমনকী, হোডিং-ও লাগাতে দিচ্ছে না। ধমকি দিচ্ছে বিজেপি কর্মীদের।"
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) অন্যতম পুরনো স্তম্ভ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুদ্রনীল ঘোষের লড়াই। যা মমতার-খাসতালুক হিসেবে চ্যালেঞ্জিং রুদ্রনীলের জন্য। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন তিনি। 'বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান' মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই সংশ্লিষ্ট এলাকার অবাঙালি ভিন-ভাষী জনগণের সঙ্গে বার্তালাপে মেতে উঠেছেন রুদ্রনীল। ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচারের ময়দানে সেটাই হয়ে উঠেছে তাঁর মূল অস্ত্র। আর নির্বাচনের মুখে সেই প্রচারেই কিনা বাধার সৃষ্টি করছে বিরোধী শিবির! এমনটাই দাবি, পদ্ম-প্রার্থীর। তাঁর কথায়, "আসলে ভবানীপুরের মানুষজন যেভাবে তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন, সেটাই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। তাই বাধা দিচ্ছে।"
ভবানীপুরের গোপালনগর এলাকায় ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে যখন প্রচার শুরু করেন রুদ্রনীল ঘোষ, তখনই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রচারেও বাধা দেওয়া হয়। এমনকী, গেরুয়া সমর্থক মহিলাদেরও গালিগালাজ করার অভিযোগ তোলেন তিনি। এরপরই থানায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এপ্রসঙ্গে রুদ্রনীলের সাফ মন্তব্য, "প্রশাসনের সাহায্য পাচ্ছি না। সাহায্য পেলে আজকে প্রচার ছেড়ে থানায় আসতে হত না।"