রুদ্রনীল ঘোষ, সবসময় নিজের মন্তব্য রাখতেই পছন্দ করেন। সোজা সাপটা কথা বলতে ভালবাসেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পেন যাওয়ার পর থেকে নানা বিতর্ক। কেউ অত্যধিক মজা করছেন আবার কেউ যুক্তির কথা বলছেন। কিন্তু, এবার একহাত নিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রর মোটেই ভাল লাগেনি তাঁর অসময়ে স্পেন যাওয়ার বিষয়টা। রাজ্যের অবস্থা ভাল নয়। অর্থ ভান্ডার প্রায় শূন্য। চাকরি নেই। মায়না নেই রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের। তাঁর মধ্যেই এত কোটি কোটি টাকার খরচ করে বিদেশে গিয়ে শিল্প আনার বিষয়টা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না রুদ্র। তাঁর মধ্যে আবার পোশাক ব্র্যান্ড zara! রেগে আগুন অভিনেতা। পশ্চিমবাংলায় মানুষের কাছে জারা পড়ার মতো অর্থ আছে কী?
রুদ্রর কথায়, বস্ত্র শিল্প না চ্যাংড়ামো হচ্ছে সেটা ধরতে পারা মুশকিল। এই রাজ্যে নাকি zara এর মতো দামী পোশাকের একটা গোটা শপিং মল? যে রাজ্যের মানুষের কাছে পয়সা নেই তারা এত দামী পোশাক কোথা থেকে কিনবে? রুদ্র গর্জে উঠলেন। বললেন, "একটা এমন ব্র্যান্ডের পোশাক যেটা কেনার ক্ষমতা উচ্চ মধ্যবিত্তদের কাছেই নেই। শুধু উচ্চবিত্তদের কাছে আছে। সেখানে, উনি বলছেন আমরা বাংলায় জমি দেব। তোমরা একটা গোটা মল বানাও। এটা সম্ভব? কে কিনবে? বাংলার মানুষদের মধ্যে কাদের ক্ষমতা আছে এই ব্র্যান্ডেড পোশাক কেনার? খেতে পায় না তাঁরা! ইয়ার্কি হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী চ্যাংরমো করছেন?"
আরও পড়ুন - ‘জায়েদ এত সুন্দর, এত পরিষ্কার…’, বাংলাদেশি নায়কের প্রশংসায় শব্দ কম পড়ছে সায়ন্তিকার!
এখানেই শেষ নয়। রাজ্যের হাল হকিকত কি চোখে পড়ে না তাঁর? শুধু শুধু এসব করছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী? রুদ্র বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খেতে পায় না। ধর্নায় বসে রয়েছে রাস্তায়। রোজগার নেই। তাঁরা খেতে না পেয়ে জারা কিনবে? কীসব আজব দাবি? উনি এসব করতে গিয়েছেন ওখানে? মিটিং করছেন যত আজব কান্ডকীর্তি। এসব না করে, যা করলে কাজে দেবে সেটা করছেন না কেন?"
এরাজ্যের এক শতাংশ মানুষও জারা ব্র্যান্ডের পোশাক পড়ার ক্ষমতা রাখেন না। সেখানে গোটা একটা মল? রুদ্রর কথায়, যত্ত অগ্রাম বাগরাম করতে গিয়েছেন। অভিনেতা, এর আগেও সরকার পক্ষকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন। পাশে সঙ্গ দিয়েছিলেন ধর্নায় রত চাকরি প্রার্থীদের। এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন ভ্রমণ নিয়েও বিরক্ত তিনি।