/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/14/rudra-2025-09-14-16-59-26.png)
যা বললেন রুদ্র...
শেষ কিছুদিন ধরে একটাই প্রসঙ্গ। সেটি হল, ভারত বনাম পাকিস্তান। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই এই ম্যাচ সম্প্রচারিত হবে। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই ম্যাচ নিয়ে নানা আলোচনা। কেউ বললেন, যেখানে পহেলগাঁও অ্যাটাকের পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ভেদাভেদ এতটাই চূড়ান্ত, সেখানে এশিয়া কাপের মধ্যে খেলায় দুই দেশের একসঙ্গে খেলা উচিত না।
ভারত পাকিস্তান ম্যাচ মানেই হাই ভোল্টেজ উত্তেজনা। এই ম্যাচ হল অন্যতম রাইভালরি। এবং সবসময় এই ম্যাচ নিয়েই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা যায়। শেষ বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানে হয়ে ভারত একটা ম্যাচ ও খেলেনি। সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলে ভারতীয় জাতীয় দল। তাহলে আজকের ম্যাচ খেলার কি সত্যিই দরকার ছিল? ভারতের অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধুলিস্যাৎ হওয়ার ঘটনাও সারা বিশ্ব জানে। আজকের ম্যাচ নিয়ে যেমন নানা ধারণা রয়েছে, সেরকমই নানা ধরনের মতামত পর্যন্ত রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে, রুদ্রনীল ঘোষ সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসকদলের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ তিনি। রুদ্র আজকের ম্যাচ নিয়ে কী কী বললেন? তাঁর কথায়, হাতে তো ফোন থাকেই। আজকের ম্যাচ নিয়ে একটু তো উন্মাদনা আছেই। এবং ফোন থেকে দেখে নেব মাঝে মাঝে। এরপরই তিনি ভারত পাকিস্তানের এই ম্যাচ খেলা উচিত ছিল কিনা, সেই নিয়ে তিনি বলেন...
"ভারতবর্ষের রণনীতি এমনই যে কাউকে সে নিজে থেকে আক্রমণ করে না। বরং তাঁর ওপর কোনও আক্রমণ হলে, সে শুধু নিজেকে রক্ষা করে। এবং শেষ কয়েকমাসে ভারতবর্ষ প্রমাণ করেছে তাঁর ওপর আঘাত এলে, সে থেমে থাকবে না। নরেন্দ্র মোদী আসার আগে পর্যন্ত অনেক সময় ভারতবর্ষ কম্প্রোমাইজ করেছে। দেশের যে নিজের একটা ব্যক্তিত্ব আছে সেটা সে প্রমাণ করেছে। ভারতের মতো শক্তিশালী দেশের এটা করা উচিত। কিন্তু আগ্রাসী নয়। পাকিস্তানের বহু শিল্পী তো এখানে এসে রোজগার করেছেন। ভারতবর্ষের মানুষের আবেগের কথা চিন্তা করেই কিন্তু এত ঘটনার পর তাঁদের ছবি এখানে ব্যান করা হয়। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অবস্থান থাকে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হয় কিছু কিছু। বহু সাধারণ মানুষ আছে, আমরা সেগুলো বুঝতে পারি না।"
ভারত এবং পাকিস্তান ম্যাচ
আন্তর্জাতিক একটি সিদ্ধান্ত এটা। পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে আমরা নই। সেদেশের সরকার যখন বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদে বিশ্বাস রাখেন, তখন একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। কিন্তু, যারা নিরপরাধ পাকিস্তানি, তাঁদের ওপর ভারতের কোনও রাগ নেই। সেদেশের শিল্পী বা খেলোয়াড়দের ওপরও সমস্যা নেই। কিন্তু যে দেশকে তাঁরা রিপ্রেজেন্ট করছেন, সেই দেশ যদি অদ্ভুত আচরণ করেন, সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়। এক্ষেত্রে ICC বা বিসিসিআই যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা স্বাধীন সংস্থার ইচ্ছে। কিন্তু, আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে, এমন এমন জায়গায় বেশ কিছু ক্ষমা আমাদের করতে হয়। কারওর সঙ্গে রিউনিয়োনে যেতে হয়। এই সমস্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকের পক্ষে বোঝা সম্ভব না। আমার মনে হয়, খেলার ঘটনাটা সেরকমই। প্রতিবেশী রাষ্ট্ররা যতক্ষন না পর্যন্ত নিজেদের সীমারেখা অতিক্রম না করছেন ততক্ষন ভারত তাদের বন্ধু। নইলে, শক্তিশালী ভারত যে কড়া অবস্থা নিতে পারে, সেটা জানানো হয়েছে।
ভারতের পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডকে সাহায্য..
আমি তো জানি, পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সাহায্য করা হয়। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ চার্ম তৈরি করে। সাহায্য কিন্তু ভারতবর্ষ বরাবর করে। বিসিসিআই এর তরফে সাহায্য হয় বলেই শুনেছি। এই খেলার সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যান্য আচরণকে গুলিয়ে ফেলে হবে না। দুটো একেবারেই আলাদা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us