Kasba GangRape - Rudranil Ghosh: কসবায় যে ঘটনা ঘটেছে, তারপর থেকে রথযাত্রার দিনে উত্তাল মহানগরী। ল কলেজের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ছারখার শহর। রথযাত্রার আনন্দ যেন ফিকে, যে গেল একনিমেশেই। এবং অভিযোগ উঠছে যে ছাত্রের নামে, তিনি TMCP নেতা। নানা ধরনের ছবিতে সমাজ মাধ্যমে শোরগোল। প্রত্যেকটি ছবিতেই তৃণমূল নেতা কিংবা তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। এবারই, সেই সম্পর্কে মুখ খুললেন রুদ্রনীল ঘোষ। ঠিক আগষ্ট মাস শুরু হওয়ার আগেই যেন ফের একবার গণধর্ষণের ঘটনা, ফিরিয়ে দিল আরজি করের ঘটনার রেশ।
কলেজের গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এবং, কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ধ্যার পর এই ঘটনা কী করে ঘটে, সেটাই বারবার জানতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, লাগাতার এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মেয়েরা সুরক্ষিত না। বরং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, রুদ্রনীল আবারও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে। রুদ্রনীল রেগে আগুন। তিনি সোজাসুজি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অন্যায়কে শাস্তি না দেওয়ার প্রসঙ্গে, এবং দিনে রাতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের পাপকে আড়াল করার বিষয়কে তুলোধোনা করেছেন। রুদ্রনীল কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন...
আরও পড়ুন: বাবা দেবাশীষের পাশে দাঁড়িয়ে কসবা গণধর্ষণের অভিযুক্ত, দেবলীনা বলছেন..'ঘৃণ্য ঘটনা..'
এমন একটা দুষ্কৃতীর সরকার চলছে, যে সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ভয়ে জড়সড় করে রেখে দিয়েছে। অন্যায় হচ্ছে, মুখ খোলা চলবে না। এরা শিক্ষকদের চাকরি চুরি করে। রাতের বেলা এবং দিনের বেলা তাঁদেরকে মারধর করায়। বিষয়টা কী হচ্ছে, এসব ঘটনা দেখে ছোট ক্রিমিনালদের বড় ক্রিমিনাল হওয়ার ইচ্ছে জাগছে। তাঁরা ভাবছে, এই করে সরকারপক্ষের কাছে আসা যাবে। তাঁরা ভাবছে যদি আমরা এর অংশ হয়ে যাই, তাহলে পুলিশ আমাদের অ্যারেস্ট করবেন না, আমরা যা খুশি তাই করতে পারি। পুলিশ কোনরকম ব্যবস্থা নিলে, সেই পুলিশের নয় ট্রান্সফার হয়, নয়তো বড় কোনও ক্ষতি হয়। এহেন একটা অবস্থায় ক্রিমিনাল এবং পুলিশ নিয়ে চলে, যাদের মনের মধ্যে ক্রাইমের প্রবৃত্তি রয়েছে, তাঁদের এইসব ঘৃণ্য স্পৃহগুলো বেরিয়ে আসে। আজকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন নেতারা যুক্ত এতে। শুধু তাই নয়, গেট বন্ধ রেখে এই পাশবিক ঘটনা চলেছে। তাঁর আগে এরা দেখেছেন আরজি কর। কিন্তু, তাঁরা এটাও জানেন যে আমাদের নেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিমিনালকে বাঁচাতে পুলিশ দিয়ে প্রমাণ লোপাট করে দেবেন। তারপরেও তিনি কাউকে শাস্তি দেবেন না। জাস্টিস দেওয়া তাঁর প্রাথমিক কাজ। তাঁর জাস্টিস দেওয়ার ক্ষমতা আছে, ইচ্ছে নেই। এটা খুব সাংঘাতিক। আরজি কর, এবং হাসখালীর পর আবারও...
রুদ্রনীল আরও বলে গেলেন নানা কথা..
তৃণমূল মানেই অন্যায়। তৃণমূল মানেই অরাজকতা। মেয়েটা নিজের সাহস নিয়ে FIR করেছেন। মেয়েটি আদালতের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন নইলে, এই ঘটনা টাকা পয়সা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অদ্ভুত লাগছে এটা ভেবে যে যারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের দমন পীড়া দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ করা হচ্ছে এবং জানাজানি হওয়ার আগে একটু অ্যারেস্ট অ্যারেস্ট খেলছে। যে বা যারা এই ছাত্রনেতা এগুলো করেছে, তাঁরা তো তোলাবাজি করেছেন, কলেজের প্রফেসরদের মেরেছেন। এই সমস্ত অরাজকতার মদতদাতা হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধকে সরকারিভাবে ব্যবহার করে মানুষের জীবনযাপন, ধর্ম, গণতন্ত্র কাউকে এভাবে ধ্বংস করতে দেখা যায়নি। জগন্নাথদেবকে ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে, যে নোংরা রাজনীতির খেলা তিনি খেলছেন, লজ্জা লাগা উচিত। জগন্নাথ আর যাকেই রক্ষা করুন, অন্যায়কে উনি ক্ষমা করবেন না।