Rudranil Ghosh-Mamata Banerjee: বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি রাজ্যসভার সংসদ। এবং গতকাল থেকে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। নতুন পদের অধিকারী হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্যকে সেভাবে দেখতে চান যেখানে দুর্গাপুজোর ভাসান এবং মহরমের তাজিয়া, একসঙ্গে নির্বিঘ্নে যেতে পারে। এমনকি, তিনি এও বলেছিলেন, এমন একটা পরিস্থিতি চাই, যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিশুদের হাত থেকে তলোয়ার ফেলে দিয়ে, তিনি নাকি তাঁদের হাতে বই তুলে দিতে চান। এই প্রসঙ্গে, যেখানে নানা সময় হিন্দুদের নির্যাতিত হতে হয় বাংলার বুকে, সেখানে কী বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্র বিজেপি ঘনিষ্ঠ, এবং তিনি এই নিয়ে যা যা বললেন, তা সংক্ষেপে বললে দাঁড়ায়, শমীক বাবু যা বলেছেন সেটাই ঠিক। রুদ্রকে বলতে শোনা গেল, রাজনৈতিক দলের দাবিদাওয়া কিন্তু অন্যরকম। সেটা একটা লক্ষ্যের হয়। আবার সেই রাজনৈতিক দলের তৈরি সরকার কাজ করেন অন্যভাবে। ভারতীয় জনতা পার্টি, কেন্দ্রে হোক বা রাজ্যে হোক তাঁরা সরকারি কাজে কোনও জনগোষ্ঠী বা কোনও সম্প্রদায়কে আলাদা গুরুত্ব দেয়নি। সবাইকে তাঁরা একই উন্নয়নশীল প্রকল্পে তুলে এনেছেন। এই পার্টি নাকি হিন্দুদের কথা বলে। কিন্তু, অন্য কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে তাঁরা খারাপ কথা বলেনি। এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, যারা পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে, তাঁদের নানারকম অপকর্মের মধ্যে জড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। তাঁদের নাম উঠে আসে সরকারের তরফে তোলাবাজি কিংবা খুন করার মতো অপরাধের ক্ষেত্রে। মুশকিল হচ্ছে তাঁরা কিছু ইমাম সাহেবের নির্দেশে, অর্থাৎ তাঁদের সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে মানে জন্ম নেওয়া থেকে, দাফন হওয়া অবধি তাঁরা, পশ্চিমবঙ্গের এক বিরাট সংখ্যক ইমাম যারা লোভী, তাঁরা সরকারপক্ষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ফলে যে ভাল ইমাম আছে, তাঁদের অসুবিধা।
এই রাজ্যের মানুষের একা একা কিছুই করা সম্ভব না। রুদ্র সাফ জানান, মুর্শিদাবাদে ওয়াক অফের নামে, হিন্দু ভাইদের অত্যাচার করে মুসলিম, এটা কি ঠিক? এটা কাম্য? এবং কার ইন্ধনে এটা হয়েছে? মেহবুব আলম - তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও রুদ্র বললেন, আমাদের সম্মানিত সভাপতি, যা বলেছেন তিনি অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তি। তিনি যা বলছেন, ঠিক। শাসকদলের সকলে নিজেও জানেন, যে ওরা অন্যায় করছে। সত্যটা শমীক বাবু তুলে ধরছেন। সত্যিই তো পুলিশ কেন রক্তাক্ত হবে? কারওর প্ররোচনায় কেন হবে এসব। আমরা চাই, যেন আমাদের মুসলমান ভাইদের হাতে পেন আসুক। তাঁদের জীবনে বৈধ কাজ আসুক। কিছু বেআইনি পয়সার লোভ যেন, তাঁদের সমস্যায় না ফেলে, অনৈতিক কাজে যেন তাঁরা না দাড়ান। এমনকি, এতে তাঁদেরই ক্ষতি। আজকে তাঁরা এত পিছিয়ে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনৈতিকভাবে অনেক কাণ্ডই করেন। দুটো সমাজের মধ্যে উনি ব্যবধান তৈরি করেন। আমরা চাই, যেমন হিন্দুরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা স্কুলে যান, ঠিক সেভাবে তাঁরাও যাক। ওনারা পিছিয়ে গিয়েছে অনেক। শাসকদলের পাল্লায় পড়ে হঠাৎ করে দু নম্বরী রোজগারে পিছিয়ে পড়ছেন ওরা।
রুদ্র আরও কী বলছেন...
উনি হিন্দুধর্মকে গন্দধর্ম বলছেন। মহাকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলছেন। এভাবে উনি মুসলিম ভাইবোনদের খুশি করার চেষ্টা করছেন। সেটা থেকেই উনি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা সত্যিই দেখতে চাই, যেন অন্য সম্প্রদায়ের মত মুসলিমদের হাতেও পেন থাকুক, কাজ থাকুক। তারা ধর্মীয় পড়াশোনা করুন, কিন্তু বাস্তবের পড়াশোনা করুক। তাঁর পরিবারকে যেন কেউ কষ্ট না দেয়। মুসলমান সমাজের এখন আরও বেশি করে ভাবা উচিত।