BCCI প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) সরানো নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বাঙালি। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বিজেপিকে বাণবিদ্ধ করে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "বাঙালিকে আসলে উঁচু পদে সহ্য হয় না গো বলয়ের..।" বাংলার সিংহভাগ সৌরভ অনুরাগীরা আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবিরের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির দিকেই। এবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সৌরভের অপসারণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
বিজেপির তারকা সদস্য তথা বঙ্গ বিজেপির সাস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক রুদ্রনীল জানান, "জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বোর্ডের নিয়মের খাতিরে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। সে কারণেই হয়তো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানো হচ্ছে। যা নিয়ে আমাদের আপামর বাঙালির মন খারাপ। কারণ, আমরা বাঙালিরা যুক্তির চেয়ে আবেগকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি বরাবর। তবে বোর্ডের নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকলেও আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত যে, সৌরভের জন্য আরও বড় কোনও পদ অপেক্ষা করছে।"
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ অক্টোবর অবধি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন সৌরভ। শোনা যাচ্ছে, মহারাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের জেরেই নাকি এমন কড়া সিদ্ধান্ত বোর্ডের। তবে আইপিএল-এর চেয়ারম্যান পদে বসানোর কথা রয়েছে সৌরভকে। যদিও প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সেই পদে বসতে নারাজ! এদিকে BCCI প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সৌরভকে সরানো নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। তবে এরপর আর কোন বড় পদে 'দাদা'কে বসানোর ইঙ্গিত দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ? সেই জল্পনাই এখন তুঙ্গে।
<আরও পড়ুন: ‘ভয়ানক দুঃখের খবর! ইন্ডাস্ট্রির বড় ক্ষতি’, এসকে মুভিজ অগ্নিকাণ্ডে সুদীপ্তা, রিঙ্গোরা>
তবে অভিনেতা রুদ্রনীল কিন্তু এর নেপথ্যে রাজনীতি দেখতে নারাজ! তাঁর মন্তব্য, "বাংলার মানুষ আগাগোড়া রাজনীতিপ্রেমী। দুর্নীতি নিয়ে যতটা না চিৎকার করেন, তার থেকেও বেশি রাজনীতি নিয়ে চর্চা করতে অভ্যস্ত। অতঃপর রাজনীতিপ্রিয় এমন রাজ্যে সবক্ষেত্রেই যে রাজনীতিকে খুঁজে বের করা হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।"
পাশাপাশি তিনি এও যোগ করেন যে, একজন বাঙালি হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি সবক্ষেত্রেই উপভোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, "সে টিভির পর্দায় ধূপকাঠি কিংবা টিএমটি বারের বিজ্ঞাপন হোক কিংবা সঞ্চালনা। দাদা সবকিছুতেই ব্যাটিং ভাল করতে জানেন। ক্রিজে টিকে থাকার লড়াই ওঁর কাছে জলভাত।"