হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ মুখে কুলুপ আঁটলেও প্রতিবাদী আওয়াজ তুলেছেন সৃজিত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় থেকে ঋদ্ধি সেন-রা। এবার রাজ্যের অচলয়াতন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কবিতা খোঁচা দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
Advertisment
দিন কয়েক আগেই সিবিআই তলবে অনুব্রত মণ্ডলের বুকধরফড়ানি নিয়ে 'অনুমাধব' কবিতা বেঁধেছিলেন বিজেপির তারকা সদস্য। এবার পরোক্ষভাবে মমতাকে ব্যঙ্গ করে কবিতা আওড়ালেন। মমতা বলেছিলেন, খবর না দেখে টিভির সিরিয়াল দেখতে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ছন্দে ছন্দে রুদ্রনীলের আক্রমণ, "খবর দেখো না তুমি সব জেনে যাবে, সিরিয়াল দেখো তুমি শান্তি পাবে.. তিনি মানে সব ঠিক, তিনি মানে ভালো, তিনি যদি বলে দেন, সাদা হয় কালো! কাতলাকে তিনি যদি বলে দেন পুঁটি, মেনে নিলে পেয়ে যাবে সোমবারের ছুটি!"
কবিতায় রাজ্যের বাড়ন্ত বেকারত্ব সমস্যাকেও বিঁধেছেন রুদ্রনীল। তাঁর কথায়, "আনিস খান, বগটুই হয়ে হাঁসখালি- এভাবে একের পর এক ঘটনায় মায়েদের কোল খালি যাচ্ছে, তবু হুঁশ নেই তিনির!" এরপরই মমতাকে ব্যঙ্গ করে অভিনেতার মন্তব্য, "তাঁর অভিযোগ, সিবিআই থেকে অঘটন, সবই নাকি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। বাংলায় কোনও নৈরাজ্য নেই। যা হচ্ছে সব কোরিয়ায়.."
প্রসঙ্গত, দিন দয়েক আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধে রুদ্র বলেছিলেন- “অনুমাধব হাসপাতালে তোমার বুকে ব্যথা.. অক্সিজেনে টান পড়েছে কুঁকড়ে গেছো নেতা।… রামপুরহাটের মাছবাজারে ছিল প্রথম দেখা..” যে কবিতার পাল্টা নীলষষ্ঠির দিন কবিতা বেঁধে তাঁকে ঠুকেছিলেন মদন মিত্র। যে কবিতার নামও ভারী মজার!- 'নীলমাধবের আর্তনাদ'। তবে তাতেও থেমে থাকেননি গেরিয়া শিবিরের তারকা সদস্য।
রুদ্রনীল ঘোষের মন্তব্য, তিনি নাম করে কাউকেই কিছু বলেননি, কিন্তু যাঁদের গায়ে মাখার, তাঁরা ঠিকই মেখেছেন। অভিনেতার মত, আসলে রাজনৈতির বিরোধিতা থেকে নয়, সাধারণ মানুষের দুরাবস্থা দেখেই এহেন প্রতিবাদী কবিতার জন্ম। যা নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি থেকে নেটপাড়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'বগটুই-হাঁসখালি- একের পর এক মায়ের কোল খালি! তবু হুঁশ নেই', মমতাকে কটাক্ষ রুদ্রনীলের!
কেষ্টার পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কবিতা খোঁচা রুদ্রনীল ঘোষের।
Follow Us
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ মুখে কুলুপ আঁটলেও প্রতিবাদী আওয়াজ তুলেছেন সৃজিত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় থেকে ঋদ্ধি সেন-রা। এবার রাজ্যের অচলয়াতন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কবিতা খোঁচা দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
দিন কয়েক আগেই সিবিআই তলবে অনুব্রত মণ্ডলের বুকধরফড়ানি নিয়ে 'অনুমাধব' কবিতা বেঁধেছিলেন বিজেপির তারকা সদস্য। এবার পরোক্ষভাবে মমতাকে ব্যঙ্গ করে কবিতা আওড়ালেন। মমতা বলেছিলেন, খবর না দেখে টিভির সিরিয়াল দেখতে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ছন্দে ছন্দে রুদ্রনীলের আক্রমণ, "খবর দেখো না তুমি সব জেনে যাবে, সিরিয়াল দেখো তুমি শান্তি পাবে.. তিনি মানে সব ঠিক, তিনি মানে ভালো, তিনি যদি বলে দেন, সাদা হয় কালো! কাতলাকে তিনি যদি বলে দেন পুঁটি, মেনে নিলে পেয়ে যাবে সোমবারের ছুটি!"
কবিতায় রাজ্যের বাড়ন্ত বেকারত্ব সমস্যাকেও বিঁধেছেন রুদ্রনীল। তাঁর কথায়, "আনিস খান, বগটুই হয়ে হাঁসখালি- এভাবে একের পর এক ঘটনায় মায়েদের কোল খালি যাচ্ছে, তবু হুঁশ নেই তিনির!" এরপরই মমতাকে ব্যঙ্গ করে অভিনেতার মন্তব্য, "তাঁর অভিযোগ, সিবিআই থেকে অঘটন, সবই নাকি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। বাংলায় কোনও নৈরাজ্য নেই। যা হচ্ছে সব কোরিয়ায়.."
<আরও পড়ুন: হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মমতার মন্তব্যে বিরক্ত ঋদ্ধি! বলছেন, ‘বিকৃত মানবিকতা’>
প্রসঙ্গত, দিন দয়েক আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধে রুদ্র বলেছিলেন- “অনুমাধব হাসপাতালে তোমার বুকে ব্যথা.. অক্সিজেনে টান পড়েছে কুঁকড়ে গেছো নেতা।… রামপুরহাটের মাছবাজারে ছিল প্রথম দেখা..” যে কবিতার পাল্টা নীলষষ্ঠির দিন কবিতা বেঁধে তাঁকে ঠুকেছিলেন মদন মিত্র। যে কবিতার নামও ভারী মজার!- 'নীলমাধবের আর্তনাদ'। তবে তাতেও থেমে থাকেননি গেরিয়া শিবিরের তারকা সদস্য।
রুদ্রনীল ঘোষের মন্তব্য, তিনি নাম করে কাউকেই কিছু বলেননি, কিন্তু যাঁদের গায়ে মাখার, তাঁরা ঠিকই মেখেছেন। অভিনেতার মত, আসলে রাজনৈতির বিরোধিতা থেকে নয়, সাধারণ মানুষের দুরাবস্থা দেখেই এহেন প্রতিবাদী কবিতার জন্ম। যা নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি থেকে নেটপাড়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন