/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Rudra.jpg)
অভিনেতারা এখন নেতাও বটে! রাজনীতি এবং গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি এখন মিলেমিশে একাকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) পদ্ম কিংবা ঘাসফুল শিবির, কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ! দুই দলের তরফেই নির্বাচনে ‘স্টার-স্ট্র্যাটেজি’ তুঙ্গে! ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের খাতিরে এখন ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুত্বের সম্পর্কই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একে-অপরের থেকে মুখ ঘুরিয়েছেন তাঁরা। দোষারোপ। আর কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি সর্বত্র। তৃণমূলের রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষরা যখন বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ করতে পিছপা হচ্ছেন না, বঙ্গ বিজেপিতে আসা তারকারাও কিছু যাচ্ছেন না! এপ্রসঙ্গে একা রুদ্রনীল ঘোষই (Rudranil Ghosh) যথেষ্ট। নির্বাচনে তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী ঘোষণা হতেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন। এবার অন্তরঙ্গ বন্ধু রাজ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে রুদ্রর মন্তব্য, 'তারকাদের তৃণমূলে নিয়ে আসার নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে পরিচালক রাজই কাজ করেছেন।'
রদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছিলেন, তাঁর হাত ধরেই একুশের নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি স্টার-স্ট্র্যাটেজির ঘুঁটি সাজাতে চলেছে। এবার বন্ধু রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ আনলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর সপাট মন্তব্য, "প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়দের টপকে রাজ চক্রবর্তী যখন চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান হয়েছেন, ফলে ওঁরও তো একটা দায়িত্ব থেকেই যায় তৃণমূলের প্রতি।" পাশাপাশি এও উল্লেখ করেন যে, রাজ একজন সফল পরিচালক। তাঁর হাতে অনেক কাজ। আর যাঁর হাতে কাজ বেশি, মানুষ তাঁরই কথা শোনেন। আর সেই সূত্রেই নাকি কিছু তারকাদের তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছেন রাজ। তবে পদপ্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর রাজকে শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়েছেন রুদ্র।
এখানেই থেমে থাকেননি রুদ্রনীল ঘোষ, তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া অভিনেতা অভিযোগ তুলেছেন, দুই তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং দেবও নাকি দলের অন্দরে কোণঠাসা। তাই নাকি মাঠে নেমে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের আর কোনও কর্মসূচীতে তাঁদের দেখা যায় না। সোশ্যালেও দলীয় কাজ নিয়ে নীরব দেব-মিমিরা।