কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের (Kamaleswar Mukherjee) পর এবার মহুয়া মৈত্রর “দু’পয়সার প্রেস” মন্তব্যে তৃণমূল সাংসদকে একহাত নিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সাংবাদিকদের সমর্থনে সুর চড়িয়ে মহুয়াকে কোনওরকম রেয়াত না করলেন না রুদ্রনীল। নাম না করেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশে অভিনেতা তোপ দাগলেন 'অহংকারের রোদ চশমা' বলে। ফেসবুকে একটি পোস্ট করে টলিউড রুদ্রনীলের মন্তব্য, "অহংকারের রোদ চশমায় আঁধার হলেও দেশ, সবার কাছে ভরসা আজও দু' পয়সার প্রেস।"
মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) “দু’ পয়সার প্রেস” বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যত উত্তাল। রবিবার ভরা দলীয় বৈঠকে সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তার জেরে নেটিজেনদের রোষানলে পড়লেও তিনি কিন্তু নিজের এমন বক্তব্য থেকে একচুলও সরেননি! এত বিতর্ক, সমালোচনার পর সোমবার ক্ষমা চেয়েছেন ঠিকই। তবে ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায়। টুইট করে বলেন, “আমি ক্ষমা চাইছি কুরুচিকর, দুঃখজনক তবে সঠিক বক্তব্যের জন্য।” তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্যের জেরে স্বাভাবিকবশতই নেটিজেনদের একাংশ আরও ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। এবার এই সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়েই মুখ খুললেন টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেতার এমন মন্তব্যে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার গয়েশপুরে দলীয় বৈঠকে। নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সেখানেই বৈঠকের মাঝে কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন তিনি। পোস্টার প্ল্যাকার্ড হাতে তৃণমূল নেতা মিন্টুদের নেতৃত্বে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। দলেরই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। আর তাতেই মেজাজ হারান নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তাঁর দাবি, দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় সংবাদমাধ্যম কেন ঢুকবে? দলীয় বৈঠকে সংবাদমাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছেন, জানতে চান দলের নেতা-কর্মীদের কাছে। এরপরই উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, “কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? কর্মী বৈঠক হচ্ছে। আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান!” মহুয়ার সেই বক্তব্যই রেকর্ড করা হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করা শুরু করেন অনেকে। এবার সেই বিষয়েই মহুয়া মৈত্রকে একহাত নিলেন টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।