/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/552669626_1343744723786425_2342100999885703897_n-2025-09-28-17-55-16.jpg)
যা বললেন রুদ্র...
বছরের এই কয়েকটা দিনের জন্যই বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে। গৌরি বাড়ি এলেই সে যেন এক উৎসবের মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, সারা রাজ্য মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে। কিন্তু সেই উৎসব নিয়েও নানা জলঘোলা। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে শেষ কিছুদিন নানা বিতর্ক। পুজোর অন্যতম সদস্য সজল ঘোষ তিনি গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে নানা কথা জানান।
রাজ্য পুলিশ নানাভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে। দেওাল সমান প্রাচীর দিয়ে মানুষকে পুজো দর্শন করার সমস্যা করছে, এমনটাও জানান তিনি। এবং, এহেন চলতে থাকলে যে মা দুর্গার মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে বাধ্য হবেন, এমনটাও জানান তিনি। কারণ, রাজ্য পুলিশের তরফে বিভিন্ন কিছু দাবি করা হয়েছে। এমনকি, সজল ঘোষ এও জানান এভাবে চলতে থাকলে পুজো বন্ধ করতে তিনি বাধ্য হবেন। শেষ কিছু সময় ধরে নিজেদের পুজো মণ্ডপের মধ্যে দিয়েই দেশের নানা কিছু তুলে ধরছেন।
তাঁদের এবারের থিম অপারেশন সিঁদুর। দিন তিনেক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরেই এই পুজোর উদ্বোধন হয়। তাহলে কি থিমের জন্যই নানা অসুবিধা? এর আগেও কলকাতার নানা পুজো নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিমা দর্শন বন্ধ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে শ্রীভুমি থেকে দেশপ্রিয়র মতো পুজো। তাহলে কি এবারের থিমের কারণেই এহেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে বচসা?
সেই প্রসঙ্গেই পুজো উদ্যোক্তা সজল ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি নিজের সমাজ মাধ্যমে এক প্রতীকী শেয়ার করেছেন। শুধু তাই নয়, দুই লাইনের একটি কবিতাও লিখেছেন তিনি। রুদ্র যে প্রতীকী শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ হাতে একটি নোটিশ ধরে রয়েছেন যাতে লেখা, সিঁদুর ওনার অপছন্দ। এবং সেই প্রতীকী পোস্টার শেয়ার করেই রুদ্র লিখছেন.
"বুঝতে পারেনি সজল ঘোষ। আসলে কোথায় লুকিয়ে দোষ! সবাইকে শুভ দুর্গাপুজো।" যদিও বা রুদ্রনীলের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে কথা বলার চেষ্টা করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।" প্রসঙ্গে যেই পুজো নিয়ে এত হইচই, সেই পুজোই সম্মাননা পাওয়ায় রুদ্র আবার খুব গর্বিত। লেখেন যোগ্যরা, সবসময় যোগ্যই হয়।