মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) খাসতালুক ভবানীপুরের (Bhawanipur) বিজেপি প্রার্থী তৃণমূল-ছুট রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রার্থী ঘোষণা অবধি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আবার ভোটপ্রচারের ময়দানেও রুদ্র হুঁশিয়ারি দেগেছেন তাঁর প্রাক্তন দল ঘাসফুল শিবিরকে। মঙ্গলবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভবানীপুরে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী। সাক্ষী হিসেবে রুদ্রনীলের পাশে দেখা গেল তৃণমূল-ত্যাগী আরেক নেতা দীনেশ ত্রিবেদীকেও। তবে এসবের মাঝেই আরেক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি প্রার্থী। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) 'রগড়ে দেব' মন্তব্য নিয়ে যখন টলিউডে নিন্দা-সমালোচনার ঝড়, এমনকী প্রতিবাদী সুর তুলেছেন গেরুয়া শিবিরেরই আরেক নেত্রী রুপাঞ্জনা মিত্র, তখন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁরই সমর্থনে মুখ খুলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
পদ্মপ্রার্থী রুদ্রর মন্তব্য, "কোন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ একথা বলেছেন সেটা মাথায় রাখতে হবে । তাছাড়া ‘ধাতানি’, ‘রগড়ানি’ তো অনেক পুরনো ভাষা। কথার প্রেক্ষিতে এসেই থাকে। উনি বিরোধিতা করেছেন, ‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’টি নিয়ে। সেটাই তো মিথ্যে! গানের অংশে বলা হয়েছে, 'আমরা এই দেশেতেই থাকব..' দেশের কোনও মানুষকে তো দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়নি! যাঁরা গানটি গেয়েছেন কিংবা ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন তাঁদেরও বলা হয়নি। যাঁরা গানটি তৈরি করেছেন তাঁরা আদতে নিরপেক্ষ হওয়ার ভান করছেন। আর ভোটের আবহে একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে প্রচার করছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিরপেক্ষতার আড়ালে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। নাহলে গানটি কেন নির্বাচনী আবহে প্রকাশ করা হল?"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক লাইভে এসে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "শিল্পীদের বলছি, আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব।" আর বঙ্গবিজেপির শীর্ষনেতৃত্বর তরফে এমন মন্তব্য নিয়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ের বিরোধিতা করেছেন অনেক শিল্পীরাই। তবে এবার তাঁর মন্তব্য়ে সায় দিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
উল্লেখ্য, হাতে আর কয়েকটা দিন। তারপরই ভবানীপুরের ভোটবাক্সে রুদ্রর ভাগ্যগণনার লড়াই। প্রতিপক্ষও হেভিওয়েট। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) অন্যতম পুরনো স্তম্ভ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুদ্রনীল ঘোষের লড়াই। যা মমতার-খাসতালুক হিসেবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং রুদ্রনীলের জন্য। প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন তিনি। ‘বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’ মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই সংশ্লিষ্ট এলাকার অবাঙালি ভিন-ভাষী জনগণের সঙ্গে বার্তালাপে মেতে উঠেছেন। ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচারের ময়দানে সেটাই হয়ে উঠেছে তাঁর মূল অস্ত্র। তা কতটা ফলপ্রসূ হল, উত্তর মিলবে ২মের নির্বাচনী মার্কসিটেই।
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি জানান, "ভবানীপুরের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম আজ। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন এটা। আপনাদের শুভেচ্ছা ভালোবাসা চাই। ভবানীপুরে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীদেরও অভিনন্দন।"
দিলীপের 'রগড়ে দেওয়ার' হুঁশিয়ারিকে সমর্থন! মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভবানীপুরে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পদ্ম-প্রার্থী। সাক্ষী হিসেবে রুদ্রনীলের পাশে দেখা গেল তৃণমূল-ত্যাগী আরেক নেতা দীনেশ ত্রিবেদীকেও।
Follow Us
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) খাসতালুক ভবানীপুরের (Bhawanipur) বিজেপি প্রার্থী তৃণমূল-ছুট রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রার্থী ঘোষণা অবধি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আবার ভোটপ্রচারের ময়দানেও রুদ্র হুঁশিয়ারি দেগেছেন তাঁর প্রাক্তন দল ঘাসফুল শিবিরকে। মঙ্গলবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভবানীপুরে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থী। সাক্ষী হিসেবে রুদ্রনীলের পাশে দেখা গেল তৃণমূল-ত্যাগী আরেক নেতা দীনেশ ত্রিবেদীকেও। তবে এসবের মাঝেই আরেক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি প্রার্থী। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) 'রগড়ে দেব' মন্তব্য নিয়ে যখন টলিউডে নিন্দা-সমালোচনার ঝড়, এমনকী প্রতিবাদী সুর তুলেছেন গেরুয়া শিবিরেরই আরেক নেত্রী রুপাঞ্জনা মিত্র, তখন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁরই সমর্থনে মুখ খুলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
পদ্মপ্রার্থী রুদ্রর মন্তব্য, "কোন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ একথা বলেছেন সেটা মাথায় রাখতে হবে । তাছাড়া ‘ধাতানি’, ‘রগড়ানি’ তো অনেক পুরনো ভাষা। কথার প্রেক্ষিতে এসেই থাকে। উনি বিরোধিতা করেছেন, ‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’টি নিয়ে। সেটাই তো মিথ্যে! গানের অংশে বলা হয়েছে, 'আমরা এই দেশেতেই থাকব..' দেশের কোনও মানুষকে তো দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়নি! যাঁরা গানটি গেয়েছেন কিংবা ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন তাঁদেরও বলা হয়নি। যাঁরা গানটি তৈরি করেছেন তাঁরা আদতে নিরপেক্ষ হওয়ার ভান করছেন। আর ভোটের আবহে একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে প্রচার করছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিরপেক্ষতার আড়ালে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। নাহলে গানটি কেন নির্বাচনী আবহে প্রকাশ করা হল?"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক লাইভে এসে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "শিল্পীদের বলছি, আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব।" আর বঙ্গবিজেপির শীর্ষনেতৃত্বর তরফে এমন মন্তব্য নিয়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ের বিরোধিতা করেছেন অনেক শিল্পীরাই। তবে এবার তাঁর মন্তব্য়ে সায় দিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
উল্লেখ্য, হাতে আর কয়েকটা দিন। তারপরই ভবানীপুরের ভোটবাক্সে রুদ্রর ভাগ্যগণনার লড়াই। প্রতিপক্ষও হেভিওয়েট। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) অন্যতম পুরনো স্তম্ভ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুদ্রনীল ঘোষের লড়াই। যা মমতার-খাসতালুক হিসেবে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং রুদ্রনীলের জন্য। প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে গিয়ে জনসংযোগ সারছেন তিনি। ‘বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’ মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই সংশ্লিষ্ট এলাকার অবাঙালি ভিন-ভাষী জনগণের সঙ্গে বার্তালাপে মেতে উঠেছেন। ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) প্রচারের ময়দানে সেটাই হয়ে উঠেছে তাঁর মূল অস্ত্র। তা কতটা ফলপ্রসূ হল, উত্তর মিলবে ২মের নির্বাচনী মার্কসিটেই।
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি জানান, "ভবানীপুরের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম আজ। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন এটা। আপনাদের শুভেচ্ছা ভালোবাসা চাই। ভবানীপুরে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীদেরও অভিনন্দন।"