শুক্রবারই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হয়েছে ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক উৎসব (Kolkata International Film Festival)। অতিমারী আবহে অনুষ্ঠানের ব্যপ্তি ছোট হলেও তারকাদের উপস্থিতি ছিল ষোলো আনা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রাজ চক্রবর্তী, নুসরত থেকে শুরু করে কে ছিলেন না? কিন্তু অনুপস্থিত এযাবৎকালের শাসকদল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। কেন? তাহলে কি তিনি সত্যিই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আসলে দিন দুয়েক আগেই নিজের জন্মদিনে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী, বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে দেখাও করেছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তাঁর দেখা করতে যে আপত্তি নেই, সেকথাও ফলাও করে বলেছেন। আর তাতেই 'দল বদলানো'র জল্পনার সূত্রপাত। সেই কারণেই কি এবার চলচ্চিত্র উৎসবে গড়হাজির রুদ্রনীল ঘোষ?
ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজ চক্রবর্তী, যিনি কিনা KIFF-এর পরিচালন সমিতির শীর্ষে, এমনকী তাঁরও আমন্ত্রণে সাড়া দেননি রুদ্রনীল। এতসব জল্পনার মাঝেই এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি। অভিনেতার কথায়, "আমফান ক্ষতিগ্রস্থ বাংলায় এমন অতিমারী আবহে এত বিপুল টাকা খরচ করে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেই বিষয়ে সংশয় থেকেই যায়।"
কিন্তু আদৌ কি সেটাই আসল কারণ কলকাতা আন্তর্জাতিক উৎসবের মঞ্চে গড়হাজির থাকার? সেই বিষয়ে কিন্তু প্রশ্ন ওঠেই। প্রসঙ্গত, গত দেড়বছর ধরেই রুদ্রনীল ধীরে ধীরে শাসকদলের শিবির থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। এমনকী, তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছিলেন। অতিমারী আবহে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছিল পরিষেবা দেওয়া নিয়ে, 'এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ' গোছের, তখন এই অভিনেতাই 'সাচে-পাঁচে থাকি না' বলে একটি স্বরচিত কবিতা পোস্ট করে ব্যঙ্গাত্মকভাবে তার সমালোচনা করেছিলেন। এবার তাঁকে ঘিরেই 'দল বদলানো'র এত জল্পনা! নেটিজেনরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলছেন না। তবে রুদ্রনীল বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা, তা আপাতত সময়ই বলবে। তবে চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।