/indian-express-bangla/media/media_files/2024/10/31/Y0BLgxEERjxVgNI7TXRG.jpg)
যা বললেন রুক্মিণী... Photograph: (ফাইল)
কথায় বলে, বাবাদের বয়স হলে তাঁরা নাকি একটু বেশিই অবাধ্য হন। আর সেই অবাধ্য বাবাদের ঠিক করতেই গলা ছাড়তে হয় মেয়েদের। ঠিক সেরকমই এক গল্প নিয়ে আসছেন রুক্মিণী ও চিরঞ্জিত। বাবাকে বকা দিতে দিতেই তাঁর দিন কাবার। হাঁটি হাঁটি পা পা - এমনই এক বাবা-মেয়ের গল্প। যদিও অনেকেই এই ছবিকে পিকু সিনেমার বাংলা ভার্সন বলছেন। সেই ছবিতেও দীপিকা ও অমিতাভের সম্পর্ক ঠিক এতটাই খুনসুটিতে ভরা দেখানো হয়েছিল।
রুক্মিণী নিজের জীবনে বাবাকে হারিয়েছেন। তাই এই গল্প যে তাঁর কাছে একেবারেই অন্যরকম- সেকথাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে জানালেন তিনি। তাঁর বাবার সঙ্গে কেমন ছিল তাঁর সম্পর্ক? বাবার রাজকন্যে ছিলেন নাকি তাঁর বকা খেয়েই দিন কাটত তাঁর? অভিনেত্রী বললেন...
Mamata Banerjee-Tollywood: মমতার 'রাত ৮টা' মন্তব্যে ক্ষুব্ধ টলিউড, ঋদ্ধি-ঋত্বিক-রুদ্রনীলের জোরাল কটাক্ষ
"আমি যখন এই ছবিটার শুটিং করছি, তখন বাবার কথা মনে পরছিল খুব। কারণ, আমার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল না। আমার বাবাকে আমি কোনদিন জোরে গলায় কথা বলতে শুনিনি। এমনকি, এই ছবিতে যেমন আমি চিরঞ্জিত দা-র সঙ্গে চিৎকার করেছি, আমি কিন্তু আমার বাবার সঙ্গে এটা করতাম না। বাবা আমায় বকেনি কোনদিন। আমার বাবা আমায় প্যাম্পার করতেন। আমার মায়ের কাছে বকা খেয়েছি। বাবা যেহেতু শান্ত ছিলেন, কিছু বলতেন না, তাই না বাবার চোখ-মুখ দেখলেই আমি বুঝে যেতাম যে কোনটা বাবার অপছন্দ।"
এককথায় বাবার লাডলি ছিলেন তিনি। বাবার প্রতি ভয়ের থেকে বেশি সম্মান কাজ করত। সবসময় মনে একটাই কথা ঘুরত, বাবার সম্মানে যেন আঘাত না লাগে। একটা অদ্ভুত সাইলেন্স ছিল। আমি বুঝতে পারতাম যে এটা করার দরকার নেই। কিন্তু এই চরিত্রটা করার আগে কোনও প্ল্যানিং সেরেছিলেন তিনি? কী জানালেন তিনি?
রুক্মিণী সাফ বললেন, "নিজেকে মন থেকে আগে শক্ত করতে হয়েছিল, কারণ এই চরিত্রটা বার বার বাবার কথা মনে করিয়েছিল। বাবার স্মৃতিটা ভেসে আসত। কিন্তু, আমরা তো অভিনেতা। সেটা কাটিয়ে ওঠা ছিল আসল কথা। আসল ইমশন যেন না বোঝা যায়। আর একটা বিষয়, আমি এই ছবিতে যে মেয়েটির ভুমিকায় অভিনয় করেছি, সে খুব চিৎকার করে। আমার কী হচ্ছিল, বাড়িতে মায়ের সঙ্গে যেভাবে উত্তর দিই, সেটাই হচ্ছিল। নরম হয়ে কথা বলছিলাম। পরিচালক বলছেন, হবে না নরম হয়ে যাচ্ছে। আমি আসলে ভাবতেই পারিনা যে বাবার সঙ্গে এভাবে চিৎকার করা যায়। তারপর অনেকেই বলল, যে এটা নাকি সকলের বাড়িতে কমন। তখন আমি ভাবলাম যাক!"
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us