এই তো শেষ কিছুদিন নিজের ছবি রিলিজের আনন্দে চূড়ান্ত উদ্দীপনা দেখাচ্ছিলেন তিনি, এরমধ্যেই হল কী? প্রসঙ্গে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। তিনি নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সমাজ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন সেই খারাপ খবর। অদম্য ইচ্ছে এবং মনোবল নিয়েই শরীরের তোয়াক্কা না করে তিনি কাজ করে যাচ্ছিলেন। তবে আর যেন পারলেন না।
রুক্মিণী মৈত্র নিজেকে বিনোদিনী হিসেবে স্ক্রিনে সঁপে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ছবির প্রমোশন থেকে অন্য ছবির শুটিং পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, এখন আবহাওয়ার যা অবস্থা, সকলেই হালকা সর্দি কাশি কিংবা ঠান্ডা লেগে নাজেহাল। হুটহাট ঠান্ডা লাগার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ জ্বরে ভুগছেন। রুক্মিণী একই সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে। অভিনেত্রীর জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে ১০২ ছাড়িয়েছিল।
অভিনেত্রী নিজেই লিখেছিলেন, ১০২ জ্বর। কিন্তু আমি হাল ছাড়ছি না। এখানেই শেষ না। অভিনেত্রী আরেকটি স্টোরি পোস্ট করে লিখেছেন, "হাল ছাড়ছি না। আর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।" যে ছবি তিনি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করা। সেখানে শুয়েই একটি ছবি আপলোড করেছেন তিনি। আর এরপরই উদ্বিগ্ন তাঁর ভক্তরা। এমনকি, কাছের মানুষরাও তাঁকে মনের সাহস যুগিয়ে চলেছেন।
রুক্মিণী তাঁর পছন্দের পরিচালকের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। এহেন কঠিন সময়েও যেন তিনি নিজেকে সুস্থ রাখেন সেই নিয়েই রামকমল মুখোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমে লিখলেন... তুমি যে একজন যোদ্ধা সেটা তো জানো। আমাদের ছবির সেই ডায়লগ নিশ্চই মনে আছে, "এই জেদটা কোনোদিন ছাড়িস নে..." হরি গুরু, গুরু হরি! উল্লেখ্য, নিজের ছবির প্রচারে রুক্মিণী পাড়ি দিয়েছিলেন নানা জায়গায়। দিল্লি থেকে মুম্বাই কিছুই বাদ দেননি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/030f685b-4a7.png)
প্রসঙ্গে, তিনি তাঁর নতুন ছবি হাঁটি হাঁটি পা পা নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, সেই ছবির শুটিংয়ে যে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে দেদার মজা করেছেন, সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন। পরিচালক অরুণ রায়ের মৃত্যুতে যেমন তাঁর শেষ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন, তেমনই তাঁকে দেখা গিয়েছিল শ্রাদ্ধের কাজে অংশ নিতে। তবে, আপাতত তিনি বিশ্রামে।