অভিনয়ের প্রয়োজনে কত কী করতে হয়। অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র পর্দায় ফিরছেন বিনোদিনী হিসেবে। সেই ছবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। আবার, রুক্মিণী বিনোদিনী হিসেবে একেবারেই বেমানান একথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন টলিউডের অভিনেত্রীর সঙ্গে আরও অনেকেই।
বিনোদিনী দাসী বাংলা থিয়েটার এবং রঙ্গমঞ্চের দুনিয়ার এমন এক নাম যাকে সকলে এককথায় চেনেন। তাঁর অভিনয় থেকে ব্যক্তিস্বত্বার প্রেমী ছিলেন অনেকেই। তাঁকে দেখতে, একবার সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করতে অনেকেই ছুটে যেতেন থিয়েটারে। এবার, সেই মানুষটিকে নিয়েই বিনোদিনী - এক নটীর উপাখ্যান। আর যেদিন থেকে ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে...
সেদিন থেকে একটা বিষয়েই আলোচনা। ট্রেলারে দেখা গিয়েছে ওম সাহানীর সঙ্গে রুক্মিণী মৈত্রর একটি অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। আর সেই দৃশ্য নিয়েই মূলত সমালোচনা। এমন একটি দৃশ্যে অভিনয় করা নিতান্তই সহজ কাজ না। আর রুক্মিণী এবং ওমের সেই দৃশ্যে বেশিরভাগ ওমকেই বেশি নম্বর দিয়েছেন। বরাবরই, যেকোনও ছবির ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। বেশি বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করলে সেই নায়িকাকে নানা বিশেষণে দাগিয়ে পর্যন্ত দেওয়া হয়।
এবারও সেটা বাতিক্রম না। কিন্তু, এবার বেশিরভাগ প্রশ্ন তুললেন এই দৃশ্য নিয়ে না, বরং রুক্মিণীর অভিনয় দক্ষতা প্রসঙ্গে। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় নাকি বোঝাই সম্ভব না, যে আসলে কী বোঝাতে চাইছেন তিনি। এক ভক্তের মন্তব্য...
"ওম এর সিডাকটিভ এক্সপ্রেশন এর সামনে রুক্মিণীর এক্সপ্রেশন দেখে মনে হচ্ছে অসুস্থ পেশেন্ট বেডে শুয়ে ছিল হঠাৎ নিজের লোক কে দেখে একটু খুশি হয়েছে। অভিনয়ের ব্যপারে রুক্মিণীর আরোও পড়াশুনার দরকার আছে।" এই ব্যক্তিকে সহমত জানিয়েছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ এমনও বললেন...
"এটা একটা বোল্ড সিন? বাংলা ছবির গল্প এখন অনেক দূর।" আবার কেউ বললেন, "দেব দেখলে বলবে এমনি। কারণ সবকিছু আজকাল তার এমনি হচ্ছে।" আবার কারওর কথায়, "এগুলো সাহসী কাজ , সবার প্রশংসা করা উচিত।"