হাতে মাত্র আর কদিন বাকি। রুক্মিণী মৈত্র ব্যস্ত প্রমোশন করতে। বিনোদিনী ছবি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে সর্বত্র। এমন এক থিয়েটার ব্যক্তিত্ব কে নিয়ে বাংলার বুকে ছবি বানানো হবে এবং সে নিয়ে কথা হবে না এ কথা নিশ্চয়ই ভাবা যায় না। আর আজ যখন তার ছবির এক অনন্য সুন্দর গান রিলিজ হয়েছে, তখন অভিনেত্রী সোজা পৌঁছে গিয়েছিলেন, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কাছে।
নটী বিনোদিনীর জীবনে ঠাকুরের কী ভূমিকা এবং আশীর্বাদ ছিল, সে কথা অনেকেই জানেন। তাই যখন গিরিশ ঘোষের কথা এবং সুরে হরি মন মজায় আজকে রিলিজ করল, তার আগেই বেলুর মঠে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন রুক্মিণী মৈত্র এবং রামকমল মুখোপাধ্যায়। পরনে গেরুয়া রঙের শাড়ি, রুক্মিণীকে দেখা গেল ঠাকুরের সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মহারাজের কাছ থেকেও আশীর্বাদ নিতে।
অভিনেত্রী বললেন, "আজকে আমাদের টিম বিনোদিনীর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ আজকে যে গানটি রিলিজ হচ্ছে, সেটা শুধুমাত্র আমার কাছে একটি গান না এটি তপস্যা এবং সাধনার গল্প। যেন ভগবানের কাছে একটা প্রার্থনা। বিনোদিনীর জীবনে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের একটা বিরাট ভূমিকা ছিল। এবং সে কারণে আজকে আমরা দিনটা শুরু করতে গিয়েছিলাম ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে। সে কারণেই আমরা চলে এসেছি বেলুরমঠে।"
রুক্মিণী এবং রামকমলের উপস্থিতিতে সেই গান শুনেছেন বেলুর মঠ এবং মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ। অভিনেত্রী তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন। এবং সেই কিছু ছবি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করে লিখলেন… "আজ থেকে ১৪০ বছর আগে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন নাট্য মঞ্চের কিংবদন্তী অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসী। তাঁর পথ অনুসরণ করে আমি এবং পরিচালক রাম কমল মুখার্জি বেলুড় মঠে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলাম তাঁর আশীর্বাদ নিতে। ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান‘ ছবি মুক্তির আগে "চৈতন্য লীলার" কীর্তন "হরি মন মজায়ে" গানটি প্রকাশ করলেন বেলুড় মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।"
এদিকে রুক্মিণী ঈশ্বরের কাছে গিয়েছেন দেখে কেউ কেউ যেমন প্রশংসা করলেন, কেউ কেউ আবার এও জানান, অতিভক্তি তাঁদের মোটেই ভাল ঠেকছে না। আবার কারওর কথায়, ছবির জন্য এতকিছু? কেউ আবার প্রসংশা করলেন। উল্লেখ্য, এই ছবির জন্যই রুক্মিণী নিজেকে অন্যরকম করে গড়ে তুলেছেন।