রবিবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী মহাদেব জনকর সঞ্জয় দত্তের রাজনীতিতে যোগদানের কথা বলেছিলেন। তিনি দাবী করেছিলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর আরএসপি-তে যোগ দিতে চলেছেন সঞ্জুবাবা। কিন্তু পরেরদিন অর্থাৎ সোমবারই এই কথা অস্বীকার করলেন অভিনেতা। একটি বিবৃতিতে সঞ্জয় দত্ত তাঁর রাজনীতিতে কামব্যাকের জল্পনার অবসান ঘটালেন। রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষর প্রধান এবং মন্ত্রী মহাদেব জনকর রবিবার প্রত্যেকে চমকে দিয়ে বলিউড অভিনেতার রাজনীতির ময়দানে নামার কথা ঘোষনা করেছিলেন।
এই ঘোষনার আগে সঞ্জয় দত্তের শুভেচ্ছার একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়েছিল, যেখানে জনকরকে বন্ধু ও ভাই বলে সম্মোধন করেছিলেন সঞ্জু। যদিও এদিন বিবৃতিতে সঞ্জয় দত্ত অভিনেতা জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলেই তিনি যোগ দিচ্ছেন না। মহাদেব জানকরপ আমার প্রিয় বন্ধু এবং ভাই। আমি তাঁর রাজনৈতিক উন্নতি কামনা করি, তাঁর ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আরও পড়ুন, পাভেলের গল্পেই পর্দায় বাজিমাৎ আয়ুষ্মান খুরানার
বলিউডের জনপ্রিয় নাম ছাড়াও, এই দত্ত পরিবারের একটি রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। সঞ্জয় দত্তের বাবা-মা নার্গিস দত্ত এবং সুনীল দত্ত পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। সুনীল দত্ত মনমোহন সিংয়ের ক্যাবিনেটে মন্ত্রীও ছিলেন। ৫ বার কংগ্রেসের হয়ে উত্তর-পশ্চিম মুম্বই কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সুনীল দত্ত। ২০০৪ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারে ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুনীল দত্ত।
সঞ্জয়ের বোন প্রিয়াও সাংসদ ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালের মুম্বই বোম ব্লাস্টের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, পরে ২০০৯ সালে তিনিও সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। কিছুদিন পরে অবশ্য সরেও আসেন।