বছরের শুরু থেকেই রূপমের কনসার্ট ঘিরে থাকে নানা উন্মাদনা। গায়ক, গান করবেন আর সেখানে মানুষের ঢল নামবে না, সেটা সম্ভব না। রাজ্যের নানা জায়গায় রূপম প্রোগ্রাম করছেন। আর সেই ঘিরেই কালকে ভয়ঙ্কর উন্মাদনা। পাবলিকের উপর লাঠি চার্জ, কী হয়েছিল আসলে?
Advertisment
শিল্পীর গতকাল অনুষ্ঠান ছিল মধ্যমগ্রামে। রূপমের গান শুরু হওয়ার আগেই জনসমুদ্র সৃষ্টি হয় সেখানে। টিকিটের বালাই না থাকার কারণেই সেখানে জড়ো হয় অনেক মানুষ। ছয় হাজারের জায়গায় সেখানে প্রায় হাজির হয় ১১ হাজার মানুষ। যথা সমস্যা, তথাই পুলিশ। মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল রূপমের এই সিজনের প্রথম প্রোগ্রাম ছিল। আর সেটাই সফল হল না। অতিরিক্ত লোকের কারণেই শিল্পীর এই কনসার্ট একেবারে জলে গেল।
শিল্পীর অনুষ্ঠান ঘিরে দ্বন্দ্ব, নানা কোন্দল! পুলিশের লাঠিচার্জ এর মুখে পড়েন সকলে। অবশেষে শিল্পীকে গান থামাতে বাধ্য করেন পুলিশ। রূপম নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে নানা কথা জানিয়েছেন। কিন্তু গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল?
টিকিটের কোনওরকম ব্যবস্থা ছিল না। ফলেই অতিরিক্ত পরিমাণে লোক ঢুকতে শুরু করেই মাঠ প্রাঙ্গণে। এমন পরিমাণ ভিড় হতে শুরু করে, যে মাঠের থেকে বেশি লোকজন জমতে শুরু করে সামনের এলাকায়। এরকারণেই, সেখানে রাস্তা বন্ধ এবং ভিড় জমে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন অন্যান্যরা। প্রায় ৫০০০ দর্শক বেশি! এহেন অবস্থায় পুলিশি হস্তক্ষেপের দরুন কনসার্ট বন্ধ করতে হয় রুপমকে। শিল্পী মাত্র দুটি গান গেয়েই নেমে পড়েন স্টেজ থেকে। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন..
"দুটি ভিডিও পোস্ট করা হল। একটা ভিডিও অনুষ্ঠান শুরুর আগের। আর একটা পরের। আমাদের যখন পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে নির্দেশ দেয় তখন মানুষের কোলাহল আরও বেড়ে যায়। ফলেই আমরা দুটি গান গেয়েই স্টেজ থেকে নেমে আসি। কেবল হাসনুহানা এবং অ্যাসিড গেয়েই অনুষ্ঠান শেষ করতে হল। তারপরেও মানুষ জায়গা ছাড়তে নারাজ ছিল।"
এখানেই শেষ না। রূপমের যুক্তিবুদ্ধির কারণেই গতকালের বিপদ এড়িয়েছে এমনটাই জানা গেল। শিল্পীর হয়ে তাঁর স্ত্রী বললেন..."রুপম একজন শিক্ষক! ও জানে মানুষের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়। কীভাবে তাঁদের সঙ্গে পরিস্থিতির সহযোগিতা করতে হয়। গতকাল সেই এলাকায় অনেক কিছু ঘটতে পারত যদি রুপম উপস্থিত বুদ্ধি কাজে না লাগাতেন।"