অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র একটু অন্যভাবে উদযাপন করলেন এবছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ৮ মার্চ হইচই-তে এল রূপাঞ্জনা অভিনীত ও প্রযোজিত শর্ট ফিল্ম 'পালক'। এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি নারীকেন্দ্রিক ঠিকই কিন্তু ছবির বক্তব্য সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
২০১৯ সালেই তৈরি হয় এই শর্ট ফিল্ম এবং প্রদর্শিত হয় গত বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্মোৎসবে। রাতুল মুখোপাধ্যায়ের গল্প-চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা। তিরিশোর্ধ্ব এক নারীর জীবনে হঠাৎ নেমে আসে বিপর্যয়। ১০ বছরের বিয়ে এক কথায় ভেঙে দেয় তার স্বামী।
আরও পড়ুন: তিন ধাপে জন্মদিন পালন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের, রইল অ্যালবাম
ছবির শুরুতেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এক নারীকে দেখতে পাবেন দর্শক। হয়তো অনেকেরই চেনা লাগবে তার সঙ্কট। সম্পর্কে প্রতারিত হওয়া, ভেঙে পড়া থেকে অনেকেই চরম সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান। এই ছোট ছবির মুখ্য চরিত্রও সেই পথেই এগোয়। কিন্তু বাধ সাধে পালক হাতে এসে পড়া একজন।
এই চরিত্রটিতেই অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এখানে পালক জীবনের প্রতীক আবার সেই সব ভাবনারও প্রতীক যাকে মনের মধ্যে বাসা বাঁধতে দিয়েই সবচেয়ে বড় ভুল করে মানুষ। দেখে নিতে পারেন এই ছবির ট্রেলারটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
এই ২৮ মিনিটের ছবির বিষয়বস্তু একেবারেই অজানা-অচেনা নয়। বরং লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন নিজেকে এই কথাগুলিই বলেন, বেঁচে থাকার সাহস জোগাতে। কিন্তু অনেক সময় খুব জানা কথাও বার বার বলতে হয়। কারণ মানুষ বড় অভিমানী। কখন অভিমান যুক্তিকে অতিক্রম করে যায়, তা কেউ জানে না।
আর সেই সময়েই জীবনের প্রতি আস্থা হারাতে থাকে মানুষ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-এ সেই কথাই আরও একবার মনে করায় 'পালক'। যে নারীরা লালন করেন, যত্ন করেন, নিজেকে উজাড় করে দিয়ে ভালবাসেন, তাঁরা যখন প্রতারিত হন সম্পর্কে তখন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। সেই নারীদের জন্যই নারী দিবস-এ 'পালক' উপহার রাতুল ও রূপাঞ্জনার।