Advertisment

Rupankar Bagchi: পোস্ট অফিসের সরকারি কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, রূপঙ্কর বাগচী এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ!

Rupankar Bagchi Uses slang: ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন রূপঙ্কর এবং তাঁর স্ত্রী? কাজ করতে এসেও যা করলেন...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
rupankar nagchi news, post office

Rupankar Bagchi- রূপঙ্কর এর বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ!

Rupankar Bagchi: ফের একবার বিতর্কে সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। অশান্তি যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। কেন? শিল্পীর আচরণ আরেকবার ভাইরাল। এবার, সাধারণ মানুষকে নিশানা করলেন তিনি। কী করেছেন?

Advertisment

এর আগে, শিল্পী KK শহর কলকাতায় যখন অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন তার আগে এমন কিছু মন্তব্য করেন যার ফলে রোষানলে পড়েন তিনি। আর তারপর, KK সেই অনুষ্ঠানের পর পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। যার ফলে, আরও বাড়তে থাকে বিতর্ক। আর এবার, তিনি পোস্ট অফিসে গিয়ে যা কান্ড করেছেন তাতে আবার নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে, তাঁর স্ত্রী চৈতালি যা করেছেন, তাতে আর শব্দ নেই কিছু।

কী ঘটনা ঘটেছে?

এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এবং মন্তব্য শেয়ার করেছেন। পোস্ট অফিসে আধার কার্ডের কাজ করাতে গিয়েই তারা যে কান্ড করেছেন, এবং অশালীন আচরণ করেছেন তাতে ফের ছড়িয়েছে আগুন। পেশায় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী মহাশয় আজ সস্ত্রীক আমাদের পোস্ট অফিসে আসেন আধারের কাজ করাতে। প্রথমে সাড়ে বারোটা নাগাদ জনৈক চৈতালি লাহিড়ী (পরে বোঝা গেল উনি রূপঙ্কর বাবুর স্ত্রী ) এসে আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য থাকা কর্মীকে বলেন উনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন, ওনাকে "তক্ষুনি" করে দিতে হবে। প্রত্যুত্তরে আধার কর্মী বলেন, তিনি করে দেবেন কিন্তু আগে যারা সেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের করে তারপর..

আরও পড়ুন - ‘আমি একদম সুবিধার নয়..!’ ক্ষোভ-বিদ্বেষের মাঝে তেতে উঠলেন রূপঙ্কর

প্রতিদিন আমাদের অফিসের সদর দরজা সকাল দশটায় খোলা মাত্র দেখি প্রচুর লোক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন… এই লাইনের জন্য তারা স্বভাবতই দশটার আরো আগে থেকেই দাঁড়ান। এই অবস্থায় কোনোমতেই একজন শিল্পীকে সেই সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে টপকিয়ে আগে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব নয়, অন্তত নীতিগত ভাবে তো নয়ই..এটা বুঝিয়ে বলার পরেও তিনি রীতিমতো "পাওয়ারফুল শিল্পীপত্নী" সুলভ আচরণ করেন এবং নিজেই স্বঘোষিত ভাবে বলেন যে উনি দুপুর দেড়টার সময় ফের আসবেন।

দেড়টার বদলে ওনাদের কাজ ১:৩৫ এ শুরু হয়, তাতেই রূপঙ্কর বাবুর শৈল্পিক সত্ত্বায় আঘাত লাগে। ওনার স্ত্রী চৈতালি দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী "মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে"… অর্থাৎ ওনারা দামী মুড়কি আর সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলি সস্তার মুড়ি। ইতিমধ্যে আমরা অর্থাৎ উক্ত ডাকঘরে থাকা কর্মীরা ছুটে যাই, ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করি.. বলি যে আপনারা দরকার পড়লে আলাদা ভাবে বলতেন, আমরা এনাদের করে শেষ বেলার দিকে আপনাদের সময় করে দিতাম, ইত্যাদি..কিন্তু অহঙ্কারবশত বাগচিবাবু ভুলে যান যে উনি একজন কর্তব্যরত সরকারী কর্মচারীর সাথে কী ব্যবহার করছেন, তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন। তারপর আমরা সকল কর্মী এবং সেখানে উপস্থিত কিছু কাস্টমারেরা সম্মিলিত ভাবে জোর গলায় ওনার "unparliamentary" শব্দবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বাগচিপত্নী স্বামীকে বগলদাবা করে পিছু হটতে বাধ্য হন…

গায়ক হিসেবে তাঁর এই ঔদ্ধত্য দেখে স্তম্ভিত অনেকেই। কেউ বলছেন, এরা আবার নিজেকে শিল্পী বলে। আবার কারওর কথায়, থানায় ডায়েরি করেন নি কেন? সরকারি কর্মীকে এসব বলা?

tollywood Rupankar Bagchi Entertainment News
Advertisment