Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

আশাজির সামনে গান গাওয়া, আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত: সোনাক্ষি

২০১৭ সালে 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস'-এ দ্বিতীয় হয়েছিল কলকাতার সোনাক্ষি কর। নতুন সিজনের অডিশনের আগে কথা হল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sa Re Ga Ma Pa Li'l Champs ex-contestant Sonakshi Kar shares memory

সোনাক্ষি কর। ছবি সৌজন্য: জি টিভি

বাংলার সা রে গা মা পা জুনিয়র থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল কলকাতার সোনাক্ষি করের। ২০১৭ সালে 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস'-এ দ্বিতীয় হয় সোনাক্ষি। এবছর আবার শুরু হতে চলেছে জি টিভি-র এই জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো। সারা দেশের বিভিন্ন শহরে শুরু হতে চলেছে অডিশন। কলকাতায় অডিশন আগামী ১২ জানুয়ারি। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল সোনাক্ষি।

Advertisment

সোনাক্ষির মা শম্পা করের উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল গান শেখা ও রিয়্যালিটি শোয়ের জগতে ছোট মেয়েটির যাত্রা। মাত্র চার বছর বয়স থেকে গান শিখেছে সোনাক্ষি। শম্পা জানালেন, যখন ভাল করে হারমোনিয়ামও ধরতে পারত না ছোট্ট মেয়েটি, সেই সময়েই সঙ্গীত শিক্ষক জয়ন্ত সরকারের কাছে নিয়ে যান তিনি মেয়েকে।

আরও পড়ুন: সুপ্রিয়া দেবী, নুসরত, নাদিয়া: জন্মদিনে তিন ভারতীয় অভিনেত্রী

''স্যার খুব ভাল না হলে কাউকে নেন না। প্রথমেই দেখলাম স্যারের ক্লাসে নিয়ে নিলেন। নাহলে বেশিরভাগ স্যারের স্টুডেন্টদের কাছেই আগে শেখে। ও যখন সাতে পড়বে, তখন স্যারই বললেন ওকে সা রে গা মা পা জুনিয়র-এর অডিশনে নিয়ে যেতে'', স্মৃতি রোমন্থন করেন শম্পা, ''আমরা ওপেন লাইনেই গেছি, কোনও রেকমেন্ডেশন ছিল না। ভোরবেলা লাইন দিয়েছিলাম। ও ঘুমিয়েও পড়েছিল অডিশনের আগে। যাই হোক সিলেক্ট হল, টপ টেন পর্যন্ত গেল। আবার যখন ন'বছর বয়স, তখন ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র-এ গেল। ওখানেও ফাইনালিস্ট ছিল। ২০১৭ সালে যখন লিটল চ্যাম্পস-এর জন্য ডাকল, আমি প্রথমটা যেতে চাইনি। ওর বোন তখন খুব ছোট। যাই হোক, নিয়ে গেলাম, ওখানে সেকেন্ড হল। মেয়েকে গানের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাব এটাই আমার স্বপ্ন। পড়াশোনাতেও ও ভাল কিন্তু আমি বেশি চাপ দিই না।''

Sa Re Ga Ma Pa Li'l Champs ex-contestant Sonakshi Kar shares memory কলকাতার অডিশনের আগে 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস'-এর প্রচারে সোনাক্ষি কর। ছবি সৌজন্য: জি টিভি

এবছর সোনাক্ষির প্রথম বোর্ড এক্সাম। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। তবে গানের রেওয়াজ একদিনের জন্যেও বন্ধ হয় না। ভোর পাঁচটায় উঠে রেওয়াজ করে তবেই স্কুলে যায়। ২০১৭-তে লিটল চ্যাম্পস-এর মঞ্চে সাফল্যের পর তার উপর সকলের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছে।

''প্রচণ্ড চাপের ব্যাপার হয়। সবার এক্সপেকটেশন আমার থেকে খুব বেড়ে গেছে। এমনকী স্কুলে কোনও অনুষ্ঠানে টিচাররাও বলেন যে তোমার কাছে তো এটা কোনও ব্যাপারই নয়'', বলে সোনাক্ষি। প্রত্যেকটা গানের পারফরম্যান্সেরর আগে এখনও একটু ভয় ভয় করে তার। তবে সোনাক্ষির মতে, এটা স্বাভাবিক। ''গানের আগে নার্ভাস ফিল করি আর সেটা করা উচিত নাহলে লোকে ওভার-কনফিডেন্ট হয়ে যায়। লতাজি বলেন, উনি যখনই গান গাইতে যান, এখনও নাকি তাঁর ভয় করে'', সোনাক্ষি জানায়।

আরও পড়ুন: ‘আজ যা দেখছি, তাতে আঘাত পাচ্ছি’, অকপট দীপিকা

তাই 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস'-এর এই সিজনের অডিশন দিতে যাবে যারা, তাদের জন্য সোনাক্ষির টিপস-- ''যে গানটা তৈরি করেছ, সেটা গাওয়ার সময় আর কিছু মাথায় রেখো না। তাহলেই ভাল হবে।'' 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস'-এর এবছরের সিজনের কলকাতা অডিশন ১২ জানুয়ারি। অডিশন হবে এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাসে, সকাল ৮টা থেকে। প্রতিযোগীদের বয়সসীম ১৫ বছর পর্যন্ত। কলকাতা ছাড়াও অডিশন হবে ইন্দোর, পাটনা, জয়পুর, নাগপুর, পুনে, আহমদাবাদ, কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বইতে।

সোনাক্ষির কাছে প্রশ্ন ছিল, তিনটি রিয়্যালিটি শো এবং তার পরবর্তী সময়ে স্টেজ পারফরম্যান্স সব মিলিয়েই তার জীবনে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত কী। সোনাক্ষি এর উত্তরে জানায়, ''আমি ছোটবেলা থেকে মাকে বলতাম সবাই আশাজির সঙ্গে দেখা করছে, আশাজির সামনে গান গাইছে। আমি কবে আশাজির সামনে গান গাইব। প্রত্যেকটা শো-তেই এক্সপেক্ট করে যেতাম যে হয়তো এই শো-টাতে আশাজি আসবেন। কিন্তু লাস্ট সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস-এ গিয়ে ড্রিম ফুলফিল হয়েছে। আশাজির সামনে আমি গেয়েছি। ওনার সামনে গাওয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে মেমোরেবল মোমেন্ট।''

Music
Advertisment