"ভোট পরবর্তী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তথা অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যে ধরনায় বসার জন্য বাংলার বিজেপি (BJP) বিধায়কদের উন্নতমানের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, আর সেখানে কিনা আমজনতাকে সি গ্রেডের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন!", অতিমারী মোকাবিলায় ব্য়র্থতার অভিযোগ তুলে মোদীকে তীব্র কটাক্ষ সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh)। দিন কয়েক আগেই মোদীর স্বপ্নের বাসভবন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন সায়নী। এবার বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়েও মুখ খুললেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর ভরসার 'স্ট্রিট ফাইটার'।
বাংলায় নবনির্বাচিত ৬১ জন বিজেপি বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। সোমবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ৬১ জন নবনির্বাচিত বিধায়ককে 'এক্স' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এর আগে অবশ্য রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের ১৬ জন নেতাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এবার ভোটেও জিতেছেন। ফলে, দু'দফা মিলিয়ে রাজ্যের মোট ৭৭ জন বিজেপি বিধায়ককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতির জন্য পরাজিত বিজেপি প্রার্থীদেরও নিরাপত্তার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। অতিমারী পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নাজেহাল, এই চরম পরিস্থিতিতেও কিনা পদ্ম শিবিরের বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়ে এত বাড়বাড়ন্ত? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সেই প্রেক্ষিতেই এবার নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিঁধলেন মমতার (Mamata Banerjee) একনিষ্ঠ সৈনিক সায়নী ঘোষ।
তৃণমূলের তারকা নেত্রীর মন্তব্য, "বিধানসভা বয়কট করার জন্য, অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যে ধরনায় বসার জন্য এবং ভোট পরবর্তী বিশৃঙ্খলা (Post Poll Violence) সৃষ্টির জন্য বাংলার বিজেপি বিধায়কদের উন্নতমানের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু যে মানুষরা আপনাদের উপর বিশ্বাস করে, তাঁদেরকে সি গ্রেডের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন! নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে আবার মানুষকে দিয়ে মোমবাতি পুড়িয়েছিলেন এবং থালাও বাজিয়েছিলেন। বাহ মোদিজি বাহ।"
এখানেই থেমে থাকেননি সায়নী ঘোষ। গোমূত্র এবং ভাবিজি পাঁপড় প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও বিঁধেছেন। তৃণমূলের তারকা নেত্রীর কথায়, "সেই দিন আর বেশিদূরে নেই, যখন দেশীয় কপালভাতি বাবা গোমূত্র এবং ভাবিজি পাপড়ের কম্বো কোভ্যাক্সিনের দৈব বিকল্প হিসেবে বিক্রি করবেন! আপনার মুখই যদি পিছনের দিকে ঘোরানো থাকে তাহলে তো আর সামনের দিকে এগোতে পারবেন না! ভারত বাঁচলে তবেই তো ভারত এগোবে।"