Swastika congratulate to swastika: স্বস্তিকা সায়নীর গেলে চুমু এঁকে দিচ্ছেন এমন একটি পোস্ট করতেই সায়নী নিজেই মন্তব্য করলেন, ধন্যবাদ! তোমার এই পোস্ট আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন। আর এরপর থেকেই স্বস্তিকা রোষানলে।
লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্টের দিন গোটা কলকাতা সবুজে সবুজ। বেলা গড়াতেই সেই উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। তৃণমূলের সাফল্য তাঁদের সমর্থকদের কাছে যেন চাঁদ পাওয়ার মতো। বেশ কিছু লোকসভায় বিরাট ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
Advertisment
সায়নী ঘোষ যাদবপুর থেকে ঠিক তাই। সৃজন ভট্টাচার্যকে মাঠে নামতেই দিলেন না তিনি। লক্ষ লক্ষ ভোটে জয়ী তিনি। তারপর, সেই বিজয়পত্র নিয়ে গিয়েছেন মহাদেবের কাছে। তাঁকে দেখিয়েছেন তিনি। টলিউডের তরফে নানা শুভেচ্ছা পেয়েছেন। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বাদ পড়েননি সেই থেকে।
আর তারপরেই শুরু হয়েছে ট্রোল! কারণ? স্বস্তিকা সায়নীর গেলে চুমু এঁকে দিচ্ছেন এমন একটি পোস্ট করতেই সায়নী নিজেই মন্তব্য করলেন, ধন্যবাদ! তোমার এই পোস্ট আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন। আর এরপর থেকেই স্বস্তিকা রোষানলে। যদিও, এই ঘটনাই প্রথম না। বরং, এর আগেও দুর্গাপুজোর কার্নিভালে হেঁটে, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানানোয় তাঁকে চটি চাটা থেকে আরও নানা বিশেষণ শুনতে হয়।
আর এবারও যে তাঁর আলাদা কিছু হবে না, সেটা বুঝে গিয়েছেন স্বস্তিকা। তাই তো এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন.. "আমি জানি আগামী একমাস আমায় অনেক গালাগাল খেতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পা চাটছি বলে নানা কথা বলবে। আমি নিজের প্রতিপত্তি বাড়াতে এসব করছি, নানা কথা শুনতে হবে। কিন্তু আমার কাছে আসল হল আমি কোথায় কাজ করছি সেটা দেখা। আমার সহকর্মীরা আগে। তারপর, হল তারা কোন দলীয় পার্টি করে সেটা দেখা। রাজনৈতিক মতভেদ আছে কিনা সেটা পরে দেখার।"
অভিনেত্রী আরও বললেন, "আমার কাছের কেউ, বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের কেউ যদি পরীক্ষায় ভাল ফল করে, আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাব না? সায়নী রাজনীতি করছে বলে ওকে শুভেচ্ছা জানানো হবে না?"
উল্লেখ্য, বিনোদুনিয়ার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক গভীর। শুধু তাই নয়, এবার তো তারকা প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই জিতেছেন। দেব, থেকে জুন মালিয়া এমনকি রচনা বন্দোপাধ্যায়, বাদ পড়েননি কেউই।