আসানসোলে (Asansol) দক্ষিণে বিজেপিপ্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul) কাছে পরাস্ত তিনি। তবুও দলের এহেন ব্যাপক সাফল্যে বেজায় উচ্ছ্বসিত সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তাঁর সোশ্যাল সাইট-ই জানান দিচ্ছে সেটা। বরাবরই স্পষ্টভাষী। কেউ ঢিল মারলে পাল্টা পাটকেল মারতে সায়নীর জুড়ি মেলা ভার! সেই নায়িকা-ই কিনা এবার কঙ্গনা-হীন টুইটার দেখে বেজায় উচ্ছ্বসিত। পাশাপাশি, তাঁর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের কারণ অবশ্য বাংলায় বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়া। তাই, দিদির ভরসার 'স্ট্রিট ফাইটার'-এর মন্তব্য, "বাংলা বিজেপিকে তাড়িয়েছে, আর টুইটার কঙ্গনাকে। একসঙ্গে যাবতীয় ময়লা সাফ!"
এক ঢিলে দুই পাখি মারা-ই বটে! বাংলার নির্বাচন নিয়ে একের পর এক টুইটে অশান্তি, দাঙ্গার ইন্ধন জুগিয়েছেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut), সেই অভিযোগেই টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে চিরতরের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের অ্যাকাউন্ট। অন্যদিকে একুশের নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রচারের এত জগঝম্প, মোদী-শাহের বঙ্গসফরও বাংলায় পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ। জনতার রায় গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূলকে (TMC) নিয়ে একাধিক কুমন্তব্য করে নেটজনতার রোষানলে পড়তে হয়েছে কঙ্গনাকে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, নেটিজেনরা দলে দলে গিয়ে স্বঘোষিত গেরুয়া সমর্থক অভিনেত্রীর টুইটার প্রোফাইল রিপোর্ট করতে বাধ্য হন। ফলস্বরূপ, নীতি লঙ্ঘন করার জন্য টুইটারের তরফে শাস্তি হিসেবে কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় চিরকালের জন্য। সেই প্রেক্ষিতেই বেজায় খুশি সায়নী ঘোষ।
প্রচারের ময়দানে হাজারো কসরত করে জিততে পারেননি ঠিকই, তবে দলের সাফল্যে খুশি তিনি। ভবিষ্যতেও রাজনীতির ময়দানে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন সায়নী ঘোষ।