Saif Ali Khan Case Investigation Process: ১৫ জানুয়ারি, বুধবার মধ্যরাত। বাড়ি ঢুকে পতৌদি নবাব সইফ আলি খানের উপর দুষ্কৃতীর হামলা। এরপর কেটে গিয়েছে ছ'দিন। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। থানে থেকে বান্দ্রা পুলিশ গ্রেফতার করেছে সইফের হামলাকারী মহম্মদ শরিফুল ইসলামকে (Shariful Islam Shehzad Mohammad Rohilla Amin Fakir)। পুলিশের দাবি, তিনি বাংলাদেশী। কিন্তু, অভিযুক্তের আইনজীবী এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
কী ভাবে সইফের বাড়ি ঢুকে হামলা করা হল? হামলার উদ্দেশ্য কী? পুলিশি তদন্তে উন্মোচিত হচ্ছে সেই রহস্যের জাল। মুম্বই পুলিশের সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ক্রাইম সিন থেকে হামলাকারীর ১৯টি আঙুলের ছাপ রয়েছে। বাথরুমের জানালা যেখান থেকে হামলাকারী ঢুকেছে ও বেরিয়েছে, ড্রেনের পাশে (duct shaft), যে মই ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি সহ একাধিক জায়গায় মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ।
মুম্বই পুলিশ এই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে তালিকাভুক্ত অপরাধীদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছে। কিন্তু, কারও সঙ্গেই সইফের হামলাকারীর আঙুলের ছাপ মেলেনি।তদন্তকারী এক পুলিশ অফিস অফিসারের মতে, 'আমরা নিশ্চিত হামলাকারী দেশের বাইরের কেউ। সম্ভবত বাংলাদেশের। বহু মানুষ বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/18320f40-d1c.jpg)
সোমবার মুম্বই পুলিশ শরিফুলকে জেল থেকে বের করে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বান্দ্রা থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার সইফের বাড়িতে শরিফুলকে নিয়ে এসেছে। ক্রাইম সিনে ঠিক কী ঘটেছিল, কী ভাবে 'সৎগুরু শরণ'-এ প্রবেশ করেছিল সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে শরিফুলকে। যাকে বলে, ক্রাইম সিন রিক্রেয়েট করা। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই নিজের দোষ শিকার করেছে অভিযুক্ত।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। শরিফুলের নিশানায় নাকি ছিল সইফিনার ছোট্ট ছেলে জেহ। হামলাকারী কী ভাবে ছক সাজিয়েছিল? পুলিশের অনুমান, জেহ-কে অপহরণ করে এক কোটি টাকা দাবি করা। সেই টাকা নিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে যাওয়াই শরিফুলের লক্ষ্য ছিল বলে মনে করছে মুম্বই পুলিশ। উল্লেখ্য, সইফের বাড়ি ফেরার আগেই দুই ছেলেকে নিয়ে দিদি করিশ্মার বাড়ি থেকে 'সৎগুরু শরণ'-এ ফিরেছেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান। পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করার অনুরোধ সেলেব পাপারাৎজ্জিদের।