Saif-Kareena News: ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে 'সৎগুরু শরণ'-এ সইফের উপর হামলা করে শরিফুল। পতৌদি নবাবের পিঠে ছুরি গেঁথে দিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুটি অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন সইফ আলি খান। পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় নবাব বেগম সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার সেলেব পাপারাৎজ্জিদের কাছে আর্জি করেছিলেন যাতে তাঁদের প্রাইভেসি কোনওভাবে লঙ্ঘন না করা হয়। কিন্তু, সেলেব পরিবার বলে কথা।
ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির তারকা দম্পতি। তাঁদের খবর নিতে প্যাপেরা চারপাশে ঘুরঘুর করেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর প্রথমবার বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ক্যামেরাবন্দি সইফিনা। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে কড়া নিরাপত্তার মাঝে বাইরে এলেন সইফ আলি খান। সঙ্গী করিনা। সেলেব পাপারাৎজ্জিদরা সেই মুহূর্ত লেন্সবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল। বান্দ্রার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি ওঠেন তারকা দম্পতি।
করিনার পরনে ছিল ধূসর রঙের স্পোর্টিং সোয়েটশার্ট আর টুপি। আর সইফ পরেছিলেন জিন্সের সঙ্গে নীল টি-শার্ট। একটি গাড়িতে উঠে দুজনে রওনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পিছনে আসে আরও একটি গাড়ি। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। তবে 'সৎগুরু শরণ'-এ নয়, এই মুহূর্তে তাঁদের নতুন ঠিকানা বান্দ্রার ফরচুন হাইটস-এ। ২০২১-এ ছোট ছেলে জেহ-এর জন্মের পর 'সৎগুরু শরণ'-এ থাকতে শুরু করেন।
সইফের উপর হামলার ঘটনার তদন্তে এবার নয়া মোড়। লীলাবতী হাসপাতালের দেওয়া তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দীনেশ রাওয়ের এক বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বান্দ্রা পুলিশকে লীলাবতী হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত অভিনেতা। কিন্তু, ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, সইফের শরীরের মিলেছে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে।
হাসপাতাল ইচ্ছাকৃত ভাবেই তথ্য বিকৃত করছে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে সইফের বাড়ি থেকে সংগৃহিত আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের মিল নেই বলেও জানা যাচ্ছে। অভিনেতার বাড়ি থেকে মোট ১৯ টি আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। কিন্তু, সেগুলির মধ্যে একটিও অভিযুক্তের নয়। অনেকে মনে করছেন, সিসিটিভি-তে যে ব্যক্তির মুখ দেখা গিয়েছে তার সঙ্গে অভুযুক্তের কোনও মিল নেই।