Saif Attack Case Update: গ্রেফতার সইফ আলি খানের হামলাকারী। মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। সইফকে ছুরিকাঘাতের পর বান্দ্রা থেকে ট্রেন ধরে দাদর যায়।
সেখান থেকে ওরলি কোলিওয়াড়ায় নিজের বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। টিভিতে নিজের ছবি দেখে ভয় পেয়ে থানে-তে যায়। নিজেকে বাঁচাতে বেশ কয়েকবার নামও পরিবর্তন করে। অবশেষ নিজের আসল পরিচয় দিয়ে নাম বলে, মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। পুলিশের অনুমান সইফের হামলাকারী বাংলাদেশি। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু, অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, 'পুলিশের কাছে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ নেই যে ও বাংলাদেশি।'
মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আইনজীবী সন্দীপ শিখানে। তিনি জানান, পুলিশ অভিযুক্তকে পাঁচদিনে নিজদের হেফাজতে রাখবে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আরও জানান, অভিযুক্ত যে বাংলাদেশি তার যথেষ্ট প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই।
ছ'মাস আগে এখানে এসেছে সেই যুক্তিও একেবারে ভিত্তিহীন। বরং সন্দীপ শিখানে জোর গলায় দাবি করেছেন, বিগত সাত বছরের বেশি সময় শেহজাদ তার পরিবারের সঙ্গে মুম্বইয়ে রয়েছে। যথাযথ তদন্তের অভাব উল্লেখ করে ৪৩ এ (43A)ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগও করেছেন।
সইফ আলি খান কখনও এমন কোনও বিবৃতি দেননি যেখানে উল্লেখ রয়েছে বাংলাদেশ থেকে কেউ তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর মতে, সইফের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগ নেই। ঘটনার তদন্তর থেকে বেশি অভিযুক্ত বাংলাদেশি কিনা সেই বিষয়ে ফোকাস করা হচ্ছে।
অপর অভিযুক্তের আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি জানিয়েছেন, পুলিশ চেয়েছে বলেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বেশ জোরের সঙ্গে বলেন, প্রতিপক্ষ তর্ক করছে। তাদের দাবি, অভিযুক্ত মহম্মদ শরুফুল ইসলাম শেহজাদের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।
পুলিশ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও নথি পেশ করেনি, যেখানে অভিযুক্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, সইফ আলি খান এখন ভাল আছেন। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। রবিবার সকালে জেহ-তৈমুরকে নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে গিয়েছিলেন করিনা কাপুর খান।