বলিউড জুড়ে, এখন কেবল একটাই আলোচনা। সইফ আলি খানের সঙ্গে যা যা হয়েছে, সেকথা অনেকেই জানেন। প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও কোনও কুল কিনারা হয়নি। বরং, সেই হামলাকারী যে ভয়ঙ্কর কঠিন এক অপরাধী এমনটাই দাবি মুম্বাই পুলিশের। তবে, এহেন ঘটনায় স্তম্ভিত বলিউডের নানা সেলিব্রেটিরা।
তাঁরা বেশিরভাগ এমনই বলেছেন বান্দ্রা এলাকায় এখন ঘটনা নেহাতই ঠিক নয়। মুম্বাই খুব নিরাপদ জায়গা। এখানে সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা নির্দ্ধিধায় রাতের বেলা ঘুরতে পারে। রাত ২টো তিনটে কোনও সমস্যাই নয় কারওর কাছে। সেখানে যে নিজের বাড়িয়ে এভাবে ছুরি দিয়ে কোপানো হবে, সইফকে সেটা যেন ভাবতেও পারেননি কেউ। কিন্তু, এহেন ঘটনা আগেও ঘটেছে মুম্বাইয়ে। কিন্তু, রাতের বেলা না।
বরং, প্রকাশ্য দিবালোকে আরেক বলিউড অভিনেতা একবার নাকি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর নিজে গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তিনি আর কেউ না! বরং রাকেশ রোশন। সালটা ২০০০। তখন, সদ্য কোহ না প্যায়ার হ্যা রিলিজ করেছে। রাকেশ প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হন। এবং নিজেকে ম্যানেজ করে গাড়িতে করে হাসপাতালে পৌঁছান। সে প্রসঙ্গেই দ্যা রোশন ডকুমেন্টারি সিরিজে হৃতিক রোশনের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জানান...
অভিনেতা বলেন, "ওহ ভগবান! আমার মনে আছে সেসব দিনের কথা। কিন্তু বাবার জন্য আমি ভয় পেয়েছিলাম কিনা মনে নেই। আমার কাছে উনি সুপারম্যান। মনে আছে হাসপাতালে বেড শিটে কয়েকফোটা রক্তের দাগ দেখেছিলাম। তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর মনে আছে, পরের মুহূর্তেই দেখলাম বাবা হাসছে, কথা বলছে। তখন, মনে হয়েছিল যে বাবা হয়তো সবটা পরিচালনা করতে পারবে। এখানেই শেষ না।"
রাকেশ যে মনে মনে ভয় পেয়েছিলেন সেকথা পরিষ্কার বুঝেছিলেন হৃতিক। এই ঘটনার ঠিক একমাস পর ভয়ের চোটে যা করেছেন রাকেশ সাহেব। বলিউডের গ্রীক গড বলেন... "আমার মনে আছে এই ঘটনার ঠিক এক মাস পরে, মা যখন ঘটনাটা বলছিলেন অনেকজনকে, বাবা ঘুমের মধ্যে তখন সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। ভেবেছিলেন, হয়তো কেউ তাঁকে গুলি করছে। তখন আমি সুপারম্যানের আড়ালে দুর্বল মানুষটাকে বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু, কোনোদিন তিনি নরম দিকটা বেরোতে দেননি।"
উল্লেখ্য, গতকাল করিনা কাপুর পুলিশদের জানিয়েছেন হামলাকারী নাকি এলোপাথাড়ি ছুরি করছিল তাঁকে। এমনকি, সেই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়েই যে পোশাক পাল্টে নিয়েছেন একথাও জানিয়েছে পুলিশ।