Saif Ali Khan-Bangladesh: সইফ আলি খান, যিনি তাঁর সাহসিকতার জন্য চর্চায় রয়েছেন, কারণ তিনি যে পর্দার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবের এজেন্ট বিনোদ, একথা অনেকেই বলছেন। পরিবারকে বাঁচাতে গিয়ে, তিনি এতবার ছুরির আঘাত সহ্য করেছেন। প্রথম দিন থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, কে এই কান্ড ঘটিয়েছে? অনেককে সন্দেহ করা হলেও অবশেষে আজ সকালে গ্রেফতার যে ব্যক্তি তিনি বাংলাদেশী।
৩০ বছরের এই ব্যক্তি মহম্মদ শরিফুল ইসলাম, যিনি আসলে বাংলাদেশি, আজ সকালে তাঁকে মুম্বাই পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রায় ৭০ ঘণ্টার পর পুলিশের হেফাজতে সে। সুত্র বলছে, ভারতে প্রবেশের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস রাখা শাহজাদ মাত্র ছয় মাস ধরে মুম্বাইয়ে বসবাস করছিলেন। কর্তৃপক্ষের মতে, এই অপরাধের পিছনে তার উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি। পুলিশ সুত্রে খবর, যে শাহজাদ জানতেন না চুরি করার চেষ্টার সময়, যে তিনি সইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে মুম্বাই
'অবৈধভাবে' দেশে ঢোকার পর শাহজাদ মুম্বাইয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং মুম্বাইয়ের উপকণ্ঠে থানেতে একটি বারে কাজ পান। তবে হামলার মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন আরও ভালো চাকরির আশায়। পুলিশ জানিয়েছে, শাহজাদের কাছেও কোনও বৈধ ভারতীয় পরিচয়পত্র ছিল না।
এখন প্রশ্ন একটাই। ভারতের বুকে একজন সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষরা। তাঁরা বারবার এই কথাই বলেছিলেন, ভারতে তারকারা যদি এহেন সমস্যার শিকার হন, তাহলে তো বাকিদের কথা ভাবা উচিৎ! আবার কেউ কেউ বলেছিলেন, ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনে শ্রেষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদ্মাপাড়ের মানুষদের এহেন প্রশ্ন নজর এড়ায়নি কারওর। তাহলে এখনও কি তাঁদের একই অভিমত যখন এক বাংলাদেশীই গ্রেফতার এই কাণ্ডে?
পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন সেই অভিযুক্ত?
পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, শাহজাদ ডাকাতির উদ্দেশ্যে খানের বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ঘটনা এতই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, যার ফলে অভিনেতাকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার পর শাহজাদ পালিয়ে বান্দ্রা থেকে দাদরগামী ট্রেনে করে ওরলিতে তার অস্থায়ী বাসভবনে চলে যান। যখন তিনি তার ছবি নিউজ চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়তে দেখেন, তখন ভয় গ্রাস করে এবং তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।