New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/ls-xsaif-ali-khan-kareena-kapoor-khan-1591876017-1611831420-1618683076-1637155357.jpg.pagespeed.ic_.XfnrddI6D1.jpg)
অস্ত্রোপচারের পর বিপদমুক্ত সইফ
অস্ত্রোপচারের পর বিপদমুক্ত সইফ
Saif Ali Khan Surgery Successful: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে ডাকাতি! কড়া নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে কী ভাবে ১২ তলায় সইফের ফ্ল্যাটে হামলাকারী পৌঁছল সেই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। পতৌদি পরিবারকে হামলার হাত থেকে বাঁচাতে একাই ময়দানে নেমেছিলেন ছোটে নবাব সইফ। হাতাহাতির সময়ই সইফকে এলোপাথারি কোপ হামলাকারীর।
সঙ্গে সঙ্গে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচার হয়েছে সইফ আলি খানের। অভিনেতার টিমের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানেই শেয়ার করা হয়েছে তাঁর হেলথ আপডেট। আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর কেমন অছেন ছোটে নবাব? অভিনেতার টিমের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সইফ আলি খান এখন ভাল আছেন। তিনি বিপদমুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। এখন তিনি সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। চিকিৎসকরা সবসময় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। পরিবারের প্রত্যেকে ঠিক আছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চিকিৎসক নীরজ উত্তামানীর কাছে কৃতজ্ঞ। ডাঃ নীতিন ডাঙ্গে, ডাঃ লীনা জেইন ও লীলাবতী হাসপাতালের সকল কর্মীকে ধন্যবাদ। প্রতিটি ভক্ত, শুভাকাঙ্খী যাঁরা প্রতি মুহূর্তে সইফের জন্য প্রার্থনা করেছে সকলকে ধন্যবাদ।'
চিকিৎসক জানিয়েছেন, সইফের শরীর থেকে ছুরির অংশ বের করে দেওয়া হয়েছে। শিরদাড়া থেকে ফ্লুইড বেরনোও বন্ধ হয়েছে। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ঘরে ছয়জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সইফ, করিনা, সইফিনার দুই ছেলে আর দুজন মহিলা কর্মী।
ঘটনার রাতে করিনার একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফ্ল্যাটের নীচে ফোন দেখতে দেখতেই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি যে সেই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন তা করিনার মুভমেন্টেই স্পষ্ট। সেলেব পাপারাৎজ্জি ভিরাল ভায়ানি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন।
Satguru Sharan বিল্ডিংয়ের মোট চারটি ফ্লোরের মালিক সইফিনা। মোট আটজন পুলিশের একটি দল ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। মুম্বই পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ সম্মিলিতভাবে তদন্ত করছে। এছাড়াও ফরেন্সিক টিমের এক অফিসার আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে।
সূত্রের খবর, সইফকে মারার উদ্দেশ্য নয়, চুরি করতেই সইফিনার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল হামলাকারী। পরিবারের কর্মচারী, লিফটম্যান আর দাড়োয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে কর্মীদের মোবাইল ফোনও হেফাজতে নিয়েছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশের দুজনকে সন্দেহ করছে। সইফিনার বাড়িতে যে সাত জন ২৪ ঘণ্টা থাকেন তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ।