Saif Ali Khan To Be Discharged: ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফের উপর দুষ্কৃতীর হামলায় গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ছোটে নবাব সইফ আলি খানকে। দুটি অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ আছেন। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পর বিবৃতি দিয়ে সইফের হেলথ আপডেট জানিয়েছেন। পিঠে গেঁথে থাকা ছুরি বের করার ঘটনাও প্রকাশ্যে এনেছে লীলাবতী হাসপাতাল।
সতীর্থরা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সইফের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন শুভাকাঙ্খীরা। এবার বাড়ি ফিরবেন সইফ আলি খান। 'সৎগুরু শরণ'-এ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। ডাঃ নীতিন ডাঙ্গে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সইফকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সোমবারই সমস্ত অফিসিয়াল কাজ হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। চিকিৎসকরা প্রথমে মনে করেছিলেন সোমবারই সইফকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, আরও কিছুক্ষণ তাঁকে তত্ত্বাবধানে রাখা প্রয়োজন। সেই জন্যই মঙ্গলবার ছাড়া হচ্ছে সইফকে।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান তাঁকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন দিদি করিশ্মা কাপুর। সইফের বাড়ি ফেরার আগে সোমবার বিকেলেই 'সৎগুরু শরণ'-এ তৈমুর-জেহকে নিয়ে ফিরেছেন বেবো।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/thumb/imgsize-26888,msid-117404093,width-700,resizemode-4/117404093.jpg)
একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন করিনা। ইনস্টা স্টোরিতে সুর চড়িয়ে লিখেছিলেন, যদি বিবেক থাকে তাহলে তাঁদের পরিবারকে যেন একা ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি কিছুক্ষণ পরই সেই পোস্ট সরিয়ে নেন সইফ পত্নী। পোস্টে ঠিক কী লিখেছিলেন করিনা কাপুর খান?
তিনি লেখেন, 'এবার একটু থামুন। যদি সামান্য মনুষ্যত্ব বা বিবেক থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।' পোস্টের শেষে করজোড়ের একটা ইমোজি। একদিকে সইফ বাড়ি ফিরবেন অন্যদিকে অভিযুক্ত হামলাকারীকে নিয়ে 'সৎগুরু শরণ'-এ এসেছে মুম্বই পুলিশের একটি দল।
ক্রাইম সিনে ঠিক কী ঘটেছিল, কী ভাবে 'সৎগুরু শরণ'-এ প্রবেশ করেছিল সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে শরিফুলকে। যাকে বলে, ক্রাইম সিন রিক্রেয়েট করা। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই নিজের দোষ শিকার করেছে অভিযুক্ত।