Saif Ali Khan Back To Home: মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সইফ আলি খান বাড়ি ফিরবেন এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে প্রকাশ্যে এল হাসপাতাল থেকে বাইরে আসার সেই মুহূর্ত। সাদা শার্ট আর ডেনিম জিন্সে হেঁটেই হাসপাতাল থেকে বেরলেন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। গাড়িতে উঠে বাড়ির পথে রওনা দেন ছোটে নবাব। সঙ্গে ছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সইফ আলি খানের হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সেই মুহূর্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন সইফ একেবারে বাঘের মতোই রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। বাড়ি ফেরার দিনও সেই একই ছন্দে দেখা গেল তাঁকে। সত্যিই সইফ যেন রিয়েল লাইফ ফাইটার।
তারকা দম্পতির নিরাপত্তার খাতিরে সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্ত্বরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা হল হাসপাতাল চত্ত্বর। লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে রয়েছে মুম্বই পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। অতিরিক্ত ভিড় সামলানোর জন্য যথেষ্ট পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে যাতে অযাচিত ভিড় না হয় সেই দিকে বিশেষ খেয়াল রয়েছে মুম্বই পুলিশের। কড়া নিরাপত্তায় গাড়িতে ওঠেন সইফিনা। মঙ্গলের সকালে করিনা আর সারা দুজনেই সকালে হাসপাতালে আসেন।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের বাইরে অনুরাগীদের ভিড় সামলাতেই মুম্বই পুলিশের তরফে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লীলাবতী হাসপাতালে ঢোকা ও বেরনোর গেটের সামনে ব্যারিকেট করে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভিড় কোনওভাবেই সইফিনা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে। সংবাদসংস্থা IANS-এর তরফে একটি ভিডিও-ও শেয়ার করা হয়েছিল। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুম্বই পুলিশ কী ভাবে সইফের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
রিয়েল লাইফ এজেন্ট বিনোদের উপর হামলার ঘটনার পর করিনা বারবার পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষার আর্জি জানিয়েছেন সেলেব পাপারাৎজ্জিদের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেন তাঁদের প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে? এতে পতৌদি পরিবারের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হচ্ছে। সোমবার ইনস্টা স্টোরিতে সেই পোস্ট শেয়ার করেও সরিয়ে দেন সইফ পত্নী।