গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে উৎসব। তারকারা সকাল থেকেই একে একে পোস্ট করেছেন নিজেদের বাড়ির পুজোর ছবি। আর এখন সন্ধ্যেবেলা হতেই আম্বানিদের বাড়ির গণেশ পূজোয় হাজির হয়েছেন সকলে।
সকাল থেকে যে যার বাড়ির গণপতি আরাধনা সামলে, সন্ধ্যেবেলা আম্বানিদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। তাদের বাড়ি সেজে উঠেছে, কি দারুন সুন্দরভাবে। আর আম্বানিদের অনুষ্ঠানে বলিউড হাজির হবে না এ আবার হয়? একদম প্রথমে যারা নজরে এলেন, তারা হলেন সইফ করিনা। অভিনেত্রীর পরনে লাল রঙের একটি সালোয়ার কামিজ। কিন্তু সইফ...
কী পড়লেন সইফ?
ফের একবার যেন, বাঙালির সংস্কৃতি ও পোশাককে সকলের সামনে হাইলাইট করলেন। মেরুন রঙের পাঞ্জাবি, সঙ্গে ক্রিম রঙের কোচানো ধুতি - সইফ একদম বাঙালি সেজে হাজির হলেন, তিনি। অভিনেতার এই স্টাইল নজর কাড়ার মত। একদম বাঙালিদের মত ধুতি পড়লেন তিনি, কিন্তু জুটল কটাক্ষ!
বাঙালির পোশাক পড়তেই সইফকে সমালোচনার মুখে পড়তে হল? ধুতি পাঞ্জাবির ঐতিহ্য না জেনেই কি তবে বেশিরভাগ নেটজনতা নিজেদের মন্তব্য করে বসলেন? অভিনেতার স্টাইল চমক দেওয়ার মতো। কিন্তু, অর্ধেক মানুষ বাংলার ধুতি প্রসঙ্গে জানেনই না? তাঁরা সৈফকে এহেন পোশাক পড়তে দেখেই বলে উঠলেন..
উনার ধুতিতে ওটা কি জাপানিজ ফ্যান? ডিজাইনার আর স্টাইলিস্ট কে? আবার কেউ বললেন, ধীরে ধীরে উনি রণবীর সিং হয়ে যাচ্ছে। আবার কারওর কথায়, সইফের পাজামাটা বড়ই অদ্ভুত। যদিও, বাকিয়া ছাড়ার পাত্র নন। বাঙালিদের মধ্যে অনেকেই তাদের ভুল ভাঙিয়ে দিলেন। সকলেই বলতে শুরু করলেন, "এটা বাঙালার ধুতি। না জেনে মন্তব্য করবেন না।"
উল্লেখ্য, গতবছর দীপাবলি পুজোর দিনও সইফ সাদা রঙের ধুতি পাঞ্জাবিতে তাক লাগিয়েছিলেন। তবে, অনেকেই বলেছিলেন তিনি বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরীকে নকল করছেন। কারণ, বলিপাড়ার টোটা ধুতি এবং পাঞ্জাবি পরে গিয়ে বর্তমান সময় ট্রেন্ড সেট করেছেন। সইফকে দেখা গিয়েছিল, আদিপুরুষ ছবিতে। দেবারা - পার্ট ১ এও দেখা যাবে তাঁকে।