Saif Ali Khan-Pataudi Palace: পতৌদি পরিবারের মালিকানাধীন এবং আংশিকভাবে অভিনেতা সইফ আলি খানের মালিকানাধীন আনুমানিক ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি সরকার ১৯৬৮ সালের এনেমি প্রপার্টি আইনের অধীনে অধিগ্রহণ করতে পারে। ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এই সম্পত্তির উপর থেকে আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
এই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে সাইফের শৈশবের বাড়ি ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবি বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস, কোহেফিজা সম্পত্তি ইত্যাদি। এনেমি প্রপার্টি আইন যারা দেশভাগের পরে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পত্তি আইনত দখল করতে ব্যবহার করা হয়।
ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যা ছিল। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানে চলে গেলেও বাকিরা ভারতে থেকে যায়। সইফ ভারতে থেকে যাওয়া মহিলার নাতি। সইফ তার পরিবারের পতৌদি প্রাসাদ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে প্রায়শই কথা বলেছেন। যেটি তাঁর বাবা একটি হোটেল চেইনকে লিজে দিয়েছিল।
"আমার বাবা এটি লিজ দিয়েছিলেন। ফ্রান্সিস (ওয়াকজিয়ার্গ) এবং আমান (নাথ), যারা সেখানে একটি হোটেল চালাতেন, সম্পত্তিটির ভাল যত্ন নিচ্ছেন। আমার মায়ের (শর্মিলা ঠাকুর) ওখানে একটা কটেজ আছে এবং উনি সবসময় খুব আরামে থাকতেন সেখানে।" ২০২১ সালে বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সইফ বলেছিলেন, "একটি ন্যায্য আর্থিক ব্যবস্থা ছিল এবং আমাকে এটি ফিরতি কিনতে হয়নি কারণ আমি ইতিমধ্যে এটির মালিকানাধীন ছিলাম।"
সাইফ এখন প্রাসাদটিকে সামার হাউস হিসাবে ব্যবহার করেন এবং প্রায়শই শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে এটিকে ভাড়ায় দেন। সম্প্রতি Housing.com সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তার বোন সোহা প্রাসাদের ইতিহাস সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন এবং বলেছেন যে সইফ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি এই প্রাসাদের মালিক। সোহা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর ঠাকুমা সাজিদা সুলতান ছিলেন ভোপালের বেগম এবং তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন পতৌদির নবাব। তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু ঠাকুমার বাবা বিয়ে হতে দেননি। সোহার কথায়, "পতৌদি প্রাসাদটি তার শ্বশুরকে মুগ্ধ করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। ১৯৩৫ সালে তারা যাতে বিয়ে করতে পারে সেজন্য তিনি এটি নির্মাণ করেন। তিনি তার শ্বশুরকে মুগ্ধ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু এটি নির্মাণের অর্ধেক পথেই তার অর্থ ফুরিয়ে গিয়েছিল। সুতরাং আপনি যখন সেখানে যাবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে সেখানে প্রচুর কার্পেট রয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকটির নীচে মার্বেলের মেঝে রয়েছে, তবে তাদের অনেকগুলিতে কেবল সাধারণ সিমেন্ট রয়েছে, কারণ তার অর্থ শেষ হয়ে গেছিল।"
তিনি আরও প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর হলেন সেই ব্যক্তি যিনি সমস্ত অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। "আমার মা তার হিসাব-কিতাব নিয়ে বসে আছেন। তিনি জানেন দৈনন্দিন খরচ ও মাসিক খরচ। অনেকদিন নতুন কিছু কিনছি না। এটি জায়গাটির স্থাপত্য, যা সবাইকে আকর্ষণ করে।