Bollywood: হিট সিনেমার পরও কেন খালি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট? বললেন জনপ্রিয় অভিনেতা...

বরুণের মতে, সাবধানতার সঙ্গে জীবনযাপন করেও তিনি তেমন সাফল্য পাননি, কারণ জীবনে হঠাৎ করেই নানা বাধা আসে। শুধু টাকার জন্য তিনি কখনও কাজ নিতে চাননি।

বরুণের মতে, সাবধানতার সঙ্গে জীবনযাপন করেও তিনি তেমন সাফল্য পাননি, কারণ জীবনে হঠাৎ করেই নানা বাধা আসে। শুধু টাকার জন্য তিনি কখনও কাজ নিতে চাননি।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
movie

যা হয়েছিল এই অভিনেতার সঙ্গে...

সাইয়ারা শুধু হিন্দি  সিনেমার মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়নি, এর সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের জীবন ও ক্যারিয়ারেও বড় প্রভাব ফেলেছে। আহান পান্ডে ও অনিত পদ্দা অভিনীত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোহিত সুরি। মুক্তির এক মাসের মধ্যেই এটি বিশ্বজুড়ে ৫০০ কোটির বেশি আয় করে একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে। এই রোমান্টিক-নাটকীয় ছবিতে অভিজ্ঞ অভিনেতা বরুণ বাদোলা সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। ছবির সাফল্য নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বরুণ বলেন, তিনি এমন সাফল্য আশা করেননি। তিনি আহান ও অনিতের প্রতিভার প্রশংসা করেন এবং নিজের সংগ্রামের দিনের কথাও শেয়ার করেন।

Advertisment

তাঁর কথায়, "আমি কখনও কাজ ভিক্ষা করিনি, কখনও অযথা খরচ করিনি। একাধিক গাড়ি বা বড় বাড়ির লোভ ছিল না। গোরেগাঁওতে ভাড়া থাকতাম, অতিরিক্ত গাড়ি ছিল না, সামর্থ্যের মধ্যেই জীবন কাটিয়েছি। আজও সপ্তাহে তিনবার বাইরে খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সবসময় খরচ কমিয়েই চলেছি।"

বরুণের মতে, সাবধানতার সঙ্গে জীবনযাপন করেও তিনি তেমন সাফল্য পাননি, কারণ জীবনে হঠাৎ করেই নানা বাধা আসে। শুধু টাকার জন্য তিনি কখনও কাজ নিতে চাননি। কঠিন সময়ে অনেককে সাহায্যও করেছেন, যদিও তা নিয়ে কখনও বড়াই করেননি। একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন... 

Advertisment

“আমি আর এক বন্ধু একসঙ্গে থাকতাম। পকেটে ছিল মাত্র ২৫০ টাকা। আমরা ঠিক করলাম শেষবারের মতো চাইনিজ খাবার খাব, তারপর একটি ছোট বারে একসঙ্গে পানীয় খেলাম। এরপর টানা তিন দিন আমাদের কাছে এক পয়সাও ছিল না। পরে কাজ মেলে, সেই ৩-৪ হাজার টাকা দিয়ে আরও এক মাস চলেছিলাম।”

বরুণ জানান, তাঁরও কিছু শখ আছে—দামি মোটরবাইক ও সাউন্ড সিস্টেম কিনেছেন, তবে বাড়তি বিলাসে কখনও যাননি। সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেউলিয়ার মুখে পড়া তাঁর জীবনে নতুন কিছু নয়- "প্রতি কয়েক বছর পর পর এমন পরিস্থিতি আসে। ব্যাংকে সঞ্চয় ছিল দেড়-দুই মাসের জন্য, কখনও ২ লাখের বেশি থাকত না। তখন (২০১৫) আমি, স্ত্রী, চার বছরের সন্তান, বাবা-মা ও দুটি কুকুর—মোট সাতজন একসঙ্গে ছিলাম। বাড়িতে ছোট বাচ্চা আর পোষা প্রাণী থাকলে খরচ আকাশছোঁয়া হয়।"

তবে বরুণ একা নন। সায়ারা দলের অন্য সদস্য রাজেশ কুমারও আর্থিক বিপর্যয়ের মুখ দেখেছেন। কৃষিকাজে সঞ্চয় বিনিয়োগ করার পর তিনি ২ কোটি টাকার ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়েছিলেন। মেরি সহেলি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজেশ বলেন, "দেউলিয়া- হ্যাঁ, সেই অবস্থা হয়েছিল। আয়ের পথ বন্ধ, খরচ চলছিল। সব সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়, ২ কোটি টাকার ঋণে ডুবে গিয়েছিলাম। বড় কথা হল, অনেকদিন বেঁচে থাকার মতো ন্যূনতম আয়ও করতে পারিনি।”

Entertainment News Entertainment News Today