অভিনয়ের প্রয়োজনে কত কিছুই না করতে হয় অভিনেতাদের। আলিঙ্গন থেকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, চরিত্র এবং বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে এ আর এমন কী! তবে সলমন খানকে (Salman Khan) জড়িয়ে ধরতে হবে শুনেই কেঁদে ভাসিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। একদমই তাই। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চোখের জল নাকের জল এক করার পরেও নিজের প্রথম হিরোর অনুরোধ ফেলতে পারেননি অভিনেত্রী।
Advertisment
সম্প্রতি জি কমেডি শোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাগ্যশ্রী। সেইখানেই 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' সিনেমার স্মৃতি প্রসঙ্গেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়স ছিল তাঁর। কিছুদিন পরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। তখনও পর্যন্ত কোনও পুরুষ মানুষকেই জড়িয়ে ধরেননি তিনি। সেই কারণেই ভয় পেয়েছিলেন এবং সলমনকে জড়িয়ে ধরতে হবে শুনেই সেটে সবার সামনে কেঁদে ফেলেন তিনি।
যথারীতি মাথায় হাত পরিচালক এবং হিরোর। কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে তাঁদের প্রেম পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন। অবশেষে এগিয়ে আসেন সলমন খান নিজেই। একরকম অনুরোধ করেন ভাগ্যশ্রীকে। সেদিন ছলছলে চোখে তিনি আর ফেরাতে পারেননি ভাইজানকে। অবশেষে রাজি হয়েছিলেন সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুট করতে।
এত গেল জড়িয়ে ধরার কথা। সিনেমার সেই আইকনিক চুমুর দৃশ্য প্রসঙ্গে নিজেই বলে ওঠেন তিনি। আবারও সেই পরিস্থিতি। সামনেই বিয়ে, তাই রাজি-ই ছিলেন না চুম্বন দৃশ্যের শুট করতে। তবে এবার মুশকিল আসান করেন পরিচালক স্বয়ং। মাঝখানে গ্লাস রাখার বিষয়টি তার বুদ্ধিতেই আসে। সাপও মরলো আর লাঠিও ভাঙলো না। সেই দৃশ্য দারুনভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল পর্দায়। সরল মনের ভাগ্যশ্রীকে বেশ সাহায্য করেছিলেন ফ্লোরের সকলেই। তিনি বলিউডে পা রাখেন 'ম্যায়নে প্যার কিয়া' সিনেমার হাত ধরেই। প্রসঙ্গত তিনি আগেও বলেছিলেন সম্পূর্ণ টিমে তিনিই সবথেকে ছোট ছিলেন তাই তাঁর ভাল-মন্দের খেয়ালও রাখতেন সকলেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন