/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/26/salman-khan-ispl-2025-06-26-17-26-05.jpg)
কীসে ভুগছিলেন সলমন?
Salman Khan Injury: সলমন খান ভারতের অন্যতম বড় সুপারস্টার। সেলিব্রিটি হওয়ার সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে দীর্ঘ সময়ের কষ্ট সইতে হয়েছে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে তিনি ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন- একটি এমন রোগ যা সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে অস্থির ও অসহনীয় ব্যথায় ভুগিয়েছে। সুস্থ হতে গিয়ে তাকে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার সহ বহু চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল।
‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’ অনুষ্ঠানে সলমন বলেছিলেন, "আমার ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার ব্যথা এমন ছিল… এমন কষ্টে আপনি আপনার সবচেয়ে বড় শত্রুকেও দেখতে পারবেন না। আমি এটা সাড়ে সাত বছর ধরে সহ্য করেছি।" তিনি স্মরণ করলেন যে সেই সময়ে ব্যথায় তিনি বারবার ছটফট করতেন। প্রায় প্রতি চার-পাঁচ মিনিটে তীব্র ব্যথা অনুভব করতেন তিনি। এমনকি সাধারণ কাজকর্ম করতে দুর্ধর্ষ কষ্ট হত। ব্রেকফাস্ট করতে দেড় ঘন্টা লেগে যেত এবং রাতের খাবার খেতে বের হওয়াও কঠিন হত, একটি অমলেট খাওয়াই বড় ব্যাপার ছিল। ওষুধও তেমন কাজ করত না।
প্রথমে তাদের ধারণা ছিল ব্যথার কারণ হয়তো বা দাঁতের সমস্যা, কিন্তু পরে দেখা যায় মদ্যপান করলে ব্যথা বাড়ে,তাই ডাক্তাররা বুঝিয়ে দিলেন এটি স্নায়ুজনিত রোগ। ২০০৭ সালের ‘পার্টনার’ ছবির সেটে তিনি প্রথমবার এই ধরনের তীব্র ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
Jaya Bachchan: 'তুমি আমার পুত্রবধুকে মারছ কেন?' ভোজপুরী তারকাকে মেরে ফাটিয়ে দেন জয়া!
তিনি বলেন, ব্যথা এখন নেই। কিন্তু যখন হত, সেটা অত্যন্ত ভয়ানক ছিল। অনেকে এটিকে ‘আত্মঘাতী রোগ’ বলেও অভিহিত করেন কারণ বহু মানুষ এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজের ক্ষতি করে ফেলেন। আমিরও এই প্রসঙ্গে বলেন, 'কারণ ব্যথা সহ্য করতে না পারলে এমন হবেই।" সলমন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যাতে মানুষ এই অবস্থার সম্পর্কে সচেতন হয়।
তিনি জানান এখন চিকিৎসার কারণে এটি অনেক সহজে মোকাবেলা করা যায়। গামা নাইফের মতো পদ্ধতি আছে, যেখানে প্রক্রিয়াটি অনেক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। তিনি একাধিক অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার মধ্য দিয়ে গেছেন এবং প্রথমে বলা হয়েছিল ব্যথা মাত্র ২০–৩০ শতাংশ কমতে পারে, ভাগ্যক্রমে তার ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি চলে গিয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি অ্যানিউরিজমেও আক্রান্ত-এটি একটি ধমনী ত্রুটি। তিনি বললেন, এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে বহু মানুষ বাঁচে। ঠিক যেমন বাইপাস বা অন্যান্য হৃদরোগের সঙ্গে মানুষ জীবিকা চলে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us