ইরফান খানের মৃত্যু এদেশের শুধু নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেই সিনেমা জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। ২৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যুর খবরটি আসার পরে সোশাল মিডিয়ায় বহু মানুষ লিখেছেন যে প্রিয় অভিনেতা নয়, প্রিয়জন হারানোর শোক অনুভব করছেন তাঁরা। বলিউড বা হলিউড ছবিতে তাঁর অভিনয় তো দেখেছেনই দর্শক, কিন্তু অনেকেই তাঁর অভিনয় জীবনের একদম প্রথম দিকের অন্যধারার কাজগুলি দেখেননি। আশির দশকের শেষে ও নব্বইয়ের শুরুতে বেশ কিছু ডিপ্লোমা ছবিতে অভিনয় করেছেন ইরফান। তারই একটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অনলাইনে।
এই ছবির পরিচালক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। তৈরি হয়েছিল নব্বইয়ের গোড়ায়। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ইরফান খান ও অনিতা কানওয়ার। সেই সময় ইরফান ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে পাশ করে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেছেন। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা ও এফটিআইআই পুনে-র ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বহু দশক ধরেই একটা নিয়মিত যাতায়াতের বাতাবরণ রয়েছে। তখন অনেকবারই ইরফান গিয়েছেন পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে।
আরও পড়ুন: টেলিভিশন দিয়েই শুরু হয়েছিল ইরফানের জয়যাত্রা, ফিরে দেখা তাঁর ছোটপর্দার কাজ
অনেক সময় এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে দুই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাই অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কয়েক মাস প্রজেক্ট ওয়ার্ক করে থাকেন। আবার পুনে-র ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রির অংশ হিসেবে যখন ডিপ্লোমা ফিল্ম বানাতে হয়, তখন বহু ক্ষেত্রেই এনএসডি থেকে সদ্য স্নাতকদের বিভিন্ন চরিত্রে কাস্টিং করা হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশির দশকের শেষে ইরফান একবার বেশ কিছুদিন থেকেছিলেন পুনে ক্যাম্পাসের বয়েজ হোস্টেলে। এফটিআইআই-এর প্রাক্তন ছাত্র ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এডিটর সঙ্কল্প মেশরাম ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ওই সময়েই ইরফানকে নিয়ে বেশ কিছু স্টুডেন্ট ডিপ্লোমা ছবি তৈরি হয়। তার মধ্যে একটির পরিচালক ছিলেন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। সিনেম্যাটোগ্রাফার ছিলেন অমিত সেনগুপ্ত। ইউনিটের বেশিরভাগই ছিলেন বাঙালি। সেই ৩১ মিনিটের ছবি 'রিকনিসেন্স'-এর মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ইরফান খান ও অনিতা কানওয়ার।
সেই ছবিটিই সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশ্যে এনেছেন পরিচালক। দেখে নিতে পারেন ছবিটি নীচের এমবেড লিঙ্কে ক্লিক করে--
">RECONNAISSANCE from Sandeep Chatterjee on Vimeo.
৫ বছর আগেই ছবিটি ভিমিও-তে আপলোড করেছিলেন পরিচালক কিন্তু লিঙ্কটি ছিল প্রাইভেট। বেশিরভাগ ডিপ্লোমা ছবি সেভাবেই যত্ন করে ক্লাউডে রাখেন পরিচালকেরা যাতে ইচ্ছে হলে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে ছবিটি দেখানো যায়। ইরফানের মৃত্যুতে সারা দেশের মানুষ শোকাহত। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধদের কথা ভেবেই তাই ছবিটি অনলাইনে দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করলেন পরিচালক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন