অসুস্থ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। গীতশ্রীর পদ্মশ্রী-প্রত্যাখান ইস্যু নিয়ে যখন তোলপাড় বাংলা, তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গুরুতর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হল কিংবদন্তী গায়িকার। জানা গিয়েছে ফুসফুসে সংক্রমণ।
লেকগার্ডেন্সের বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই গায়িকাকে নিয়ে গ্রীন করিডর করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নবতিপর গায়িকার শ্বাসকষ্ট ছিল গতকাল থেকেই। গায়ের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। বুধবার রাত থেকেই অবস্থার আরও অবনতি হয়। এসএসকেএমে চিকিৎসকদের টিম ইতিমধ্যেই তৈরি রাখা হয়েছে। গায়িকার জামাই জানালেন, উডবার্ন-এ গীতশ্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পীর চিকিৎসায় গড়া হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। দেখতে গেলেন মদন মিত্র।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বাথরুমে পড়ে গিয়ে অসুস্থ ছিলেন ৯০ বছর বয়সী প্রবাদপ্রতীম গায়িকা। এরমাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দিল্লি থেকে পদ্ম পুরস্কারের জন্য ফোন আসে। এমনিতে কারও সঙ্গে ফোনে তেমনটা কথা বলার অভ্যেস আর নেই গায়িকার। তবে সেদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ফোন পেয়েই কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা তুলেছিলেন। দায়সারাভাবে পদ্মশ্রী প্রস্তাব আসতেই হতভম্ব হয়ে যায় সন্ধ্যাদেবী। তৎক্ষণাৎ পত্রপাঠ সেই পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করে দেন। কাঁপা গলায় হিন্দিতেই জানান, "আমার মন চাইছে না।"
প্রসঙ্গত, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তী একজন গায়িকাকে এমন বয়সে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অনেকেই সরব হয়েছেন। মোদী সরকারে এহেন সিদ্ধান্তে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন কবীর সুমনও। এমনকী, বাংলার শিল্পমহলও সুর উঁচিয়েছিলেন, যে এতদিন কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো সংগীতজগতের এই টলস্তয়কে পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়নি? এমনকী কবীর সুমন তো এও প্রশ্ন তুলেছেন যে, কলকাতারই দুই সংগীতজ্ঞ অজয় চক্রবর্তী, রশিদ খানকে উচ্চতর পদ্ম সম্মান দেওয়া হলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে কেন পদ্মশ্রী প্রস্তাব? গত ২ দিন ধরেই এমন বিতর্কে যখন বাংলায় ঝড় উঠেছে, তার মাঝেই বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অসুস্থ হওয়ার খবর এল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন