/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/sanjaY-DUTTA.jpg)
সঞ্জয় দত্ত
কেজিএফ ২ রিলিজের পর থেকেই সঞ্জু বাবার ভক্তরা যেন সপ্তম স্বর্গে। বহুদিন পর রুপোলি পর্দায় ফিরেছেন তিনি, প্রমোশনের সময় থেকেই অঢেল ভালবাসা পেয়েছেন। বলিউডে রাজ করার পরেই, পা দিয়েছেন দক্ষিণী সিনেমায়। তারপরেই হিন্দি ছবি সম্পর্কে নিজের মতামত জানালেন তিনি। বললেন, আমরা বলিউডের সিনেমায় বিশ্বাস করতে ভুলে গেছি!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত ( Sanjay Dutt ) বলেন, "দক্ষিণের সিনেমার সঙ্গে বলিউডের সিনেমার অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা বলিউডে হিরোইজম শব্দটা এখন একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি, দক্ষিণে কিন্তু একেবারেই সেটা হয় না। ওরা সর্বদা হিরো এবং সেই সংক্রান্ত ছবিতে বিশ্বাসী। নায়ক তাদের কাছে জীবনের থেকেও বড়। আমরা আমাদের ছোটবেলায় অমিতাভ বচ্চন কিংবা ধর্মেন্দ্রকে হিরোর ভূমিকায় দেখেছি, এমনকি নিজেদের সময়েও হিরো হিসেবেই সিনে জগতে পরিচিতি পেয়েছি। হঠাৎ করেই যেন, সবকিছু হারিয়ে গেল!"
এর সঙ্গেই নিজের বক্তব্য আরও জোরালো করেই সঞ্জয় বলেন, "আমাদের বলিউডে যেধরণের জীবনকেন্দ্রিক সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে সেগুলি অবশ্যই উচ্চমানের, কিন্তু সব ছবি সকলের ভাল লাগে না। আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজ্যের মানুষ হিরোকেন্দ্রিক সিনেমা দেখতে ইচ্ছুক! এও জানান, নানান জায়গায় ভ্রমণ করলেই একটাই প্রশ্ন আসে ভক্তদের তরফে - আর পুরনো দিনের মত ছবি করেন না কেন? অভিনেতার কাছে দর্শকরা যেটা আশা করে সেটাই করা উচিত।। কেউ অ্যাকশন হিরো আবার কেউ রোমান্টিক - দর্শক কি চাইছেন সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।"
সিনেমা হবে দর্শকদের জন্য। তাদের ভাললাগার ওপরেই সবকিছু নির্ধারিত। প্রযোজক হিসেবে সলমনকেই বেছে নেবেন সিনেমার জন্য! এমনকি এও বলেন রণবীর সিং, রণবীর কাপুরও মানুষকে সিনেমাহলে টেনে আনতে পারে। তাদের পাওয়ার-প্যাক এনার্জি দেখতেই দর্শক বেশি পছন্দ করেন। তাহলে কী এককথায় সিনেমার ভিন্ন ধারায় বিশ্বাসী নন সঞ্জয় দত্ত? মেইনস্ট্রিম ছবির বাইরেও যে জীবনভিত্তিক কিংবা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ছবি দর্শক মনে জায়গা করে নিতে পারে, মানতে নারাজ বলিউডের মুন্না ভাই? পরবর্তীতে সিনে পর্দার বাইরেও প্রযোজনা করতে চলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, kgf নিয়ে উত্তেজনা চারিদিকে, কদিনেই পার ৫০০ কোটি।