শরণার্থী শিবির, ধূ-ধূ করা মরুপ্রান্তর, সন্ত্রাসবাদ, ছিন্নভিন্ন শৈশব আর এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের লড়াইয়ের গল্প নিয়ে আসছে 'তোরবাজ' (Torbaaz)। মূল ভূমিকায় সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt )। সদ্য প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার। আর তাতেই শরণার্থী শিবিরের বাচ্চাদের সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে ওঠার গল্পের ঝলক মিলল।
Advertisment
"রিফিউজি ক্যাম্পের ছেলেমেয়েরা সন্ত্রাসবাদী নয়, সন্ত্রাসবাদের শিকার...", আদতে বাস্তবেও এই কথা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, এযাৎকাল বহু লেখকের অভিজ্ঞতায় সেই চিত্র ফুটে উঠেছে। শৈশবেই ঘৃণা-হিংসার বীজ পুতে দেওয়া বাচ্চাগুলোই যে বড় হয়ে একদিন পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়ার ছক কষে, 'তোরবাজ'-এর ট্রেলার আবারও সেই বিষয়টিকে মনে করিয়ে দিল। সিনেমায় সঞ্জয় দত্তকে দেখা যাবে এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের ভূমিকায়। যিনি কিনা নিজের জীবনেও বহু ঝড় সামলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনের হতাশা, অবসাদ দূর করে সেই ব্যক্তিই নিজেকে সঁপে দেন রিফিউজি ক্যাম্পের বাচ্চাদের জীবন গড়ে তোলার কাজে। তাদেরকে বুঝতে শেখান যে, হাতে বন্দুক তুলে নেওয়ার চেয়ে ব্যাট-বল তুলে নেওয়া অনেক ভাল। এই ছবিতে সঞ্জয়ের চরিত্রের নাম নাসের খান।
আফগানিস্তানের এক শরণার্থী শিবিরকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে ছবির গল্প। সন্ত্রাসবাদ আর কাঁচা বারুদের গন্ধে যেখানে ঘুম ভাঙে। শৈশবেই বাচ্চাদের মগজধোলাই করে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্কবাদী হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। আর সেই শৈশবগুলোকেই ধ্বংসের মুখ থেকে আটকাতে উপস্থিত হয় সঞ্জয় ওরফে নাসের খান। কিরঘিজস্তানের প্রেক্ষাপট। শুটিংও রয়েছে সেখানেই।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় দত্ত ছাড়াও 'তোরবাজ'-এ অভিনয় করেছেন নারগিস ফাকরি এবং রাহুল দেব। রাহুলকে দেখা যাবে এক সন্ত্রাসবাদ দলের মূল পান্ডা হিসেবে। অন্যদিকে, নার্গিস এই ছবিতে একজন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী। ২০১৮ সালেই এই ছবির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। করোনা আবহ না থাকলে প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পেত। কিন্তু অবশেষে আড়াই বছর পর দর্শকদের কাছে আসছে 'তোরবাজ'। আগামী ১১ ডিসেম্বর নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হবে সিনেমারা।