গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি ছবি সিলভার স্ক্রিনে আসার পর থেকেই চারিদিকে উন্মত্ততা। মুম্বাইয়ের যৌনপল্লী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় সেই সময়ের জীবনযাত্রা থেকে তাদের সামাজিক অবস্থান সবকিছুকেই দেখিয়েছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি ( Sanjay Leela Bhansali )। রেড লাইট এড়িয়ার নারীদের প্রতি তার ছোটবেলা থেকেই এক আলাদারকম অনুভূতি ছিল কিন্তু, কেন? সেটি জানিয়েছেন খোদ!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানান, কামাঠিপুরার খুব কাছেই এক চাউলে বড় হয়েছেন তিনি। সেখানেই যাতায়াতের পথে সেখানকার মানুষদের দেখতেন, তাদের বোঝার চেষ্টা করতেন, এমনকি গাঙ্গুবাইয়ের জন্য সেইখানেই সেট তৈরি করেছিলেন। সঞ্জয় বলেন, "ছোট থেকে একটি বাচ্চা যা দেখে বড় হয়, সেই সব বিষয়ে সে খুব সংবেদনশীল হয়। সেখানে যাতায়াতের পথেই দেখতাম যৌনকর্মীরা তাদের ক্লায়েন্টদের ইঙ্গিত করতেন যে তাদের মূল্য ২০ টাকা। চোখের জল ফেলেই আরও বলেন, একজন মানুষের দাম কি করে ২০ টাকা হতে পারে? এইসব বিষয়গুলি আমার মাথায় আবদ্ধ ছিল। আমরা কোনও পণ্য নয়, নিজেদের কাছে আমরা অমূল্য - ৫ টাকা কিংবা ২০ টাকায় আমাদের বিক্রি করা যাবে না।"
এখানেই শেষ নয়। বনশালির বক্তব্য, তাদের প্রত্যেকের মুখে এক অদ্ভুত আকুতি! মুখাবয়বে গল্পের প্রেক্ষাপট, কত মেকআপ, কিন্তু বড্ড বিষাদ। এটা কোনও ছদ্মবেশ নয়, এই কষ্ট কেউ কাড়তে পারে না।
প্রসঙ্গত, দেবদাস ছবির পর তিনি এই ছবিতেই যৌনপল্লীর পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেন। আগামীতে হিরামান্ডি ছবিতেও এই প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করবেন তিনি।