Sara On Saif: ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে পতৌদি নবাব সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় তারকাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নড়েচড়ে বসেছিল মায়ানগরী মুম্বই। ঘটনার দিন সঙ্গে সঙ্গে সইফকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসাপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর ২১ জানুয়ারি বাড়ি ফিরে আসেন রিয়েল লাইফ এজেন্ট বিনোদ। সইফের উপর হামলার ঘটনা সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি প্রত্যেকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জীবন কতটা অনিশ্চিত। বাবাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন নবাব কন্যা সারা আলি খান। সইফের উপর হামলা নিয়ে এতদিন একটি শব্দও খরচ করেননি সারা। কিন্তু, সম্প্রতি NDTV-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সারার স্বীকারোক্তি, এই ঘটনায় আলাদাভাবে বুঝতে হয়নি তিনি বাবাকে ভালবাসেন। বরং এটা উপলব্ধি করেছেন, কঠিন সময়ে পুরো পরিবার একসঙ্গে ছিলেন।
সারার কথায়, 'ওই ঘটনায় খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারত। আমি কৃতজ্ঞ যে সব কিছু ঠিক আছে। এই অধ্যায়টা আমাদের পরিবারের প্রত্যেকের মনে চিরদিন গেঁথে থাকবে। কঠিন সময়ে মানসিকভাবে আমরা একে অপরকে পাশে ছিলাম। এই ঘটনা থেকে আমরা উপলব্ধি করেছি জীবন কতটা সুন্দর ও মূল্যবান।'
সইফের উপর হামলা নিয়ে প্রথমবার কথা বললেন সারা। আর সেই কথা প্রসঙ্গেই উঠে এল বাবা-মেয়ের সম্পর্কের কথাও। নবাব কন্যা বলেন, 'এই ঘটনা থেকে আমাকে আলাদাভাবে বুঝতে হয়নি বাবাকে আমি কতটা ভালবাসি। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরেই সেটা আমি অনুভব করছি। তবে এটা বুঝেছি রাতারাতি মানুষের জীবন কতটা বদলে যায়। তাই আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা। জীবন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/e2a20b76-7b8.jpg)
এই হামলার ঘটনা কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে। সারা বলেন, 'করোনার সময় আমরা যেভাবে একে অপরের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, কেউ কোভিড আক্রান্ত হলেই জীবন নিয়ে সংশয় তৈরি হত। তখনও মানুষ বুঝেছিল জীবন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট আনন্দগুলোই জীবনে সুখের বার্তা বহন করে আনে। তাই প্রত্যেকটি দিন নতুন করে বাঁচা উচিত। এটাই জীবনের মূল মন্ত্র হওয়া উচিত।' সারা অভিনীত শেষ ছবি 'স্কাই ফোর্স'। অনুরাগ বসুর আপকামিং মুভি 'মেট্রো...ইন দিনো'-তে অভিনয় করছেন সইফ কন্যা।