নবাব পরিবারের মেয়ে হওয়ার পরেও সরলতা এবং সাধারণত্ব ভুলে যাননি তিনি। শুধু কি তাই? এই প্রজন্মের বলিউড অভিনেত্রীদের দলে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই। সারা আলি খানের মিষ্টি স্বভাব সবসময়ই মুগ্ধ করে সবাইকে, এইবারও নিজের সরলতা দিয়েই মন কেড়েছেন তিনি।
Advertisment
মুম্বই বিমানবন্দরে তার যাতায়াত প্রায় লেগেই থাকে। কখনও কাজের সূত্রে কখনও বা ব্যক্তিগত কারণে সারা আলি খানকে মাঝে মধ্যেই মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা যায়। কিছুদিন আগেই লাদাখ থেকে ফিরেছেন তিনি। এবার মা অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়েছেন। সাদা টিশার্ট, শর্ট জিন্স আর মুখে মাস্ক, অনেকের পক্ষেই চিনতে না পারারই কথা। তবে পাপারাজ্জিদের থেকে রেহাই নেই। ফটোগ্রাফারদের তার ছবি তুলতে দেখেই জনৈক এক ব্যক্তি প্রশ্ন করে বসেন তাকে। সুযোগ পেতেই জিজ্ঞেস করেন "তোমার নাম কি?" একটুও অবাক না হয়ে শান্ত ভাবেই সারা উত্তর দেন "আমার নাম সারা স্যার"।
নবাব তনয়ার এই আবেদনই ভীষণভাবে আপ্লুত করেছে নেটিজেনদের। এমন বড় পরিবারের সদস্য হয়েও তার এই অমায়িক ব্যবহার, মানুষের প্রতি সম্মান যে হারিয়ে যায়নি সেই প্রসঙ্গে পারিবারিক শিক্ষাকে সাধুবাদ দিয়েছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়! ভিআইপি প্রবেশ পথ ছেড়ে নিয়মিত সাধারণ প্রবেশ দিয়ে লাউঞ্জে ঢুকেছেন সারা।
সাধারণ মানুষের অনেকেই তাদের মন্তব্যে জানান, "কী ভীষণ ভালও এবং সহজ-সরল সারা, ওর মাকে ধন্যবাদ এরকমভাবে বড় করে তোলার জন্য।" কেউ আবার বলেন, "একেবারেই মাটির মানুষ। ভগবান ওর মঙ্গল করুক।" শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বি টাউনের অনেকেই বলেন, "সারা ইস এ সুইটহার্ট!" সত্যিই তাই। লাদাখে ঘুরতে গিয়েও প্রকৃতির সঙ্গে বেজায় মজেছিলেন অভিনেত্রী। মিষ্টভাষী এবং নিদারুণ ভালও মনের সারা সবসময়ই একঘেয়েমী তারকা মহলের বাইরে গিয়ে নিজেকে তুলে ধরেন সকলের সামনে। এয়ারপোর্টে উপস্থিত চিত্রগ্রাহকদের সঙ্গে যথেষ্ট হাসিমুখে কথার বিষয়টিও নজড় এড়ায়নি নেটিজেনদের। যাওয়ার আগে তাদের বিদায়ও জানান সারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন