শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং অপরাজিতা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন এটা আমাদের গল্প সিনেমায়। এই প্রথম একসঙ্গে জুটিতে তাঁরা কাজ করেছেন। কিন্তু, এবার তাদের একটি রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল।
Advertisment
ঘরে ঘরে জি বাংলার তরফে অপা গিয়েছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানে গিয়েই উঠল নানা কথা। সস্ত্রীক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কত গল্প করলেন। আর তাঁর অভিনয়ে আসার গল্প শুনেই হেসে গড়ালেন অপা। বাবা যখন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় তখন অপু যে অভিনয়ের দিকেই ঝুঁকবেন একথা সে নিজেই বাবাকে জানিয়েছিলেন।
অপু বলেন, বাবা একদিন সকালবেলা খুব সিরিয়াসভাবে ডাকলেন। উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। তখন বাইপাস সবে হয়েছে। সেই রাস্তা ধরে গাড়ি করে যাচ্ছি। একটাই রিসোর্ট ছিল। সেখানে গেলেন বাবা। আমি ভাবছি যে এখানে তো লোকে প্রেম করতে আসে। তাহলে বাবা কেন? যাই হোক, সেখানে একটা প্যাডেল বোট ছিল। বাবার সঙ্গে সেটায় উঠলাম। আমি তো অবাক, যে বাবা কি জলে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে নাকি? কাজ বাজ কিছু করি না!
তারপর? বাবা যা জিজ্ঞেস করেছিলেন তাতে উত্তর দিতে গিয়ে একেবারেই ভাবেননি তিনি। বাবা জলের মাঝখানে সেই বোট দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন, কী করতে চাইছিস তুই? জীবনে কিছু করবি না? আমি সোজা বললাম..."কেন? অভিনয় করব। বাড়ি থেকে বেরোনো থেকে ঢোকা সবটাই প্রোডিউসারের দায়িত্ব। খাওয়াদাওয়া সব তাঁকে দেখতে হবে। তারপর, ধরো এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো শুটিংয়ের কারণে। আর একটা কারণ ছিল ভিন্ন ছবিতে ভিন্ন নায়িকা।"
কিন্তু তারপর শুভেন্দু যা উত্তর দিয়েছিলেন, সেকথা আজও মনে রেখেছেন অপু। বাবা বলেছিলেন, "তুই ভাত রাঁধতে পারিস? আমি বললাম, অভিনয়ের সঙ্গে ভাতের কী যোগাযোগ? বাবা বললেন, তোর মা পারে। কারণ দিদিমার কাছ থেকে শিখেছে। অভিনয়টা শেখার বিষয়। সেটা শিখতে হয়। তাহলে কোন মুখে বলছিস যে অভিনয় করব।"
এরপরই জোছন দস্তিদারের সঙ্গে কাজ শুরু করেন তিনি। বহু দিন ঠেলা টেনেছেন। নানা জায়গায় সিনেমার প্রয়োজনে কাজে এসেছেন তিনি। ক্যমেরার আড়ালে কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, নানা কাজ শিখেছেন।