“‘কাহানি’ রিলিজের এক দশক পরে গিয়েও আমরা আমরা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) মাত্র ৮ মিনিটের চরিত্র নিয়ে কথা বলছি, উনি দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন”, সিনেমা রিলিজের আগে বলেছিলেন সুজয় ঘোষের নয়া ‘বব বিশ্বাস’ অভিষেক বচ্চন। আর রিলিজের পর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলছেন, "অভিষেক বচ্চনের প্রতি আমার সমবেদনা রইল..।"
‘বব বিশ্বাস’ (Bob Biswas)-এর ভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) নয় কেন? কেন-ই বা অভিষেক বচ্চনকে (Abhishek Bachchan) কাস্ট করা হল?… এহেন প্রশ্নে ছবি ঘোষণার সময় থেকেই সরগরম নেটদুনিয়া। বিতর্কেরও অন্ত নেই। মোদ্দা কথা, সিংহভাগ দর্শকদের কন্ট্র্যাক্ট কিলার বব বিশ্বাসের ভূমিকায় জুনিয়র বচ্চনকে পছন্দ নয়। তাঁদের দাবি, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-ই এই চরিত্রে বাজিমাত করেছিলেন। আর যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, মানে শাশ্বত, তিনি নিজেই এবার মুখ খুললেন।
"গোটা ফিচার লেন্থ ছবির জন্য অভিষেক বচ্চনের মতো একটা 'বড় নাম'কে কাস্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ। আমি ২০১২ সালে কাহানি সিনেমায় বব বিশ্বাস-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, ২০২১ সালে এসে কেন এই বিতর্ক নিয়ে এত মাথাব্যথা হবে আমার? এর মাঝখানে আমি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর আমার যদি খারাপ লাগত, তাহলে এতদিনে অনেক কথা বলতে পারতাম সংবাদমাধ্যমের কাছে। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না", বলছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
বরং, কাহানির ওই ১০ মিনিটের একটা চরিত্রকে নিয়ে গোটা সিনেমার গল্প ভাবা হয়েছে, তাতেই খুশি তিনি। পাশাপাশি শাশ্বত এও জানিয়েছেন যে, "'বব বিশ্বাস' তৈরির সময়ে না সুজয় ঘোষ আমাকে ফোন ডেকেছেন, না অভিষেক! কিন্তু অভিষেকের প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা রয়েছে।"
কেন? উত্তরটাও নিজেই দিয়েছেন অভিনেতা। শাশ্বতর কথায়, "আমার অভিষেককে ভাল লাগে। আমিও একজন স্টার-কিড। আমি জানি, গোটা অভিনয় কেরিয়ারে এর কী প্রভাব পড়ে! আর ওকেই বা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।" এরপর তিনি এও যোগ করেন যে, 'বব বিশ্বাস' জেমস বন্ডের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে গিয়েছে। একটা চরিত্রে যখন দুজন ভিন্ন অভিনেতা অভিনয় করেন, তখন সেখানে প্রত্যেকে নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখেন। আমাদের সবার সেটা মেনে নেওয়া উচিত। সিনেমাহলে দর্শকদের খোলা মন নিয়ে যাওয়া উচিত বলেই আমার মনে হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন